ধান গাছের কারেন্ট ও ব্লাস্ট পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৫, ১০:২৯

এম এ আলম বাবলু,পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার চলতি বোরো ধান মৌসুমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়লেও   বোরো ধানের গাছে ক্যারেন্ট ও ব্লাস্ট পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। 

জানা গেছে, চলতি  বোর মৌসুমে পার্বতীপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৭ শত ৯৬ হেক্টর জমিতে উপষী এবং হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করার লক্ষ্য মাত্রা নিধার্রণ করা হয়। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে  কৃষকরা উপষী এবং হাইব্রীড জাতের  ধান রোপন করে । ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১ শত ৭০ মেঃ টন।  আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও  বোরো  ধান পাকার শুরুতেই ক্যারেন্ট ও ব্লাষ্ট পোকার আক্রমন দেখা দেয়। 

উপজেলার পৌর সভার সরকার পাড়া,রামপুর মাঝাপাড়া,নামাপাড়া,নয়া পাড়া,বেলাই চন্ডি ইউনিয়ের কৈপুলকি,বান্নিরঘাট,শাহাপাড়া,হরিরামপুর  বেনিহাট,দেবিডুবা  এলাকা, মনম্থপুর ইউনিয়নে দোলাপাড়া,দাগলাগজ্ঞ, ডাংগাপাড়া রাজবাসর, ছোট হরিপুর চাকলা বাজার, নারায়নপুর, রামপুর ইউপির মন্ডলপাড়া, সুন্দরীপাড়া, বাসুপাড়া, ডাংগাপাড়া, চাঁন্দের ডাংগা, রামপুর তালতলা,  সিংগীমারী, দরিখামার, জমিরের হাট, বৃত্তিপাড়া,পলাশবাড়ি ইউপির ডাংগাহাট, পোদ্দার পাড়া,গোয়াল পাড়া,চকবলিযা, পলাশবাড়ি, চন্ডিপুর ইউপির  জাহানাবাদ বাজর পাড়া, মামুন পাড়া, বাজার পাড়া, বড় হরিপুর, পোদ্দার পাড়া,বছিরবানিযা, দক্ষিন শালন্দার, মমিনপুর ইউপির সর্দারপাড়া, মমিনপুর,যশাই,দো আনিয়া, তের আনিয়া,শালবাড়ি, যশাই, সৈযদপুর, চন্দ্রপুর, মোস্তফাপুর  ইউপির আমবাড়ি মোস্তফাপুর, শিয়াল কোট, হরিহরপুর, কামারপাড়া,হাবড়া ইউপির  রসুলপুর হাবড়া, ভবানীপুর, সাহাপাড়া, কালুপাড়া পন্তাপাড়া, হামিদপুর ইউপির বড়পুকুরিযা, পাচপুকুরিযা, হরিরামপুর ইউপির খয়েরপুকুর  ঢেরেরহাট,মধ্যপাড়া,আনন্দবাজার সহ আরো অনেক এলাকায় ক্যারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিযেছে সবচেযে বেশী। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে জমিতে কীটনাষক ছিটানোর পরও কোন কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ক্যারেন্ট পোকার উপদ্রব। দক্ষিন রামপুরা সরকার পাড়া গ্রামের আবেদ আলী,জয়নাল আবেদীন,রামপুর রঘুনাথপুর গ্রামের শামসুল হক,মজিবার রহমান চন্ডিপুর জাহানাবাদ গ্রামের আমজাদ হোসেন, মহুবার রহমান, তফলে উদ্দিন,  সিরাজুল ইসলাম ,  মোস্তফাপুর গ্রামের জাকিরুল ইসলাম আজিবার রহমান, মফলে সরকার,  চন্দ্রপুর গ্রামের নারায়ন চন্দ্র, ক্ষিতিষ রায়, মুকুল চন্দ্র পলাশবাড়ি গ্রামের মোখলেছুর রহমান, হবিবার রহমান সহ আরো অনেক বলেন, আমরা নিয়মিতজমিতে  কীটনাশক স্প্রে করছি তার পরও কোন কাজ হচ্ছে না। ধান পাকা ধরছে তার পরো ক্যারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।  জমি থেকে ধান বাড়িতে নিয়া আসবো তার উপায় নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাজেদুর রহমানের বলেছেন, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ক্যারেন্ট পোকার আক্রমন  বেশী হযেছে। আগাম জাতের ধান উৎপাদন করা হলে এ সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। তার পরও কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরার্মশ দেয়া হচ্ছে।