ফটিকছড়ি সদরে বেহাল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক
হাজারো শিক্ষার্থীর ভোগান্তি!
প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৫, ১৫:১৪

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা সদরের ডাক বাংলোর সামনে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও সড়কের গর্তে পানি জমে সাধারণ মানুষ এবং হাজারো শিক্ষার্থীর ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, বিবিরহাট বাজার সংলগ্ন ডাক বাংলোর সামনে সড়কে বড় গর্ত সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে আছে।
জলাবদ্ধতার সঙ্গে কাঁদা গায়ে নিয়ে চলাচল করছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এ অবস্থাতেই চালাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সাধারণ মানুষের সিএনজি, কার, অটোরিকশা, মোটর সাইকেল ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন।
ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরাও।
জানা যায়, ডাক বাংলোর সামনের এ সড়ক দিয়ে উপজেলা পরিষদ, ফটিকছড়ি সরকারি করোনেশন স্কুল, ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ, ফটিকছড়ি বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ফটিকছড়ি থানা, ফটিকছড়ি সিনিয়র ডিগ্রি মাদ্রাসা, ফটিকছড়ি আদালত ভবনসহ ৪-৫ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল দশায় মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বৃষ্টির পানি ছাড়াও পাশের বড় বড় দালানের ময়লা পানিতে সব সময় এ জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
স্থানীয় শামসুদ্দিন টনি বলেন, ‘আমার দোকানে যাওয়ার জন্য বাজারের জ্যাম ঠেলে যেতে হয়। কারণ এ সড়ক দিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। সব সময় ময়লা পানিতে কাপড়চোপড় নষ্ট হয়ে যায়।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ উপজেলার এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কেন সংস্কার করা হচ্ছে না এটা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে আমি একাধিকবার লেখালেখিও করেছি।’
এসএসসি পরিক্ষার্থী তাসপিয়া জান্নাত জানায়, ‘আমরা করোনেশন স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে সব সময় এ জায়গায় ভোগান্তিতে পড়ি।
হেঁটে যাওয়ার সময় গাড়ি এসে পানিতে আমাদের কাপড় নষ্ট করে দেয়।
ময়লা পানির উপর দিয়েই কষ্ট করে যেতে হয়। শুধু আমি না সব সময় সবার এমন কষ্ট কেউ দেখেও কিছু বলে না।’
স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রবাসী মো. শামীম বলেন, ‘আমরা বাজারসহ সব জায়গায় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এমন ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। যেহেতু মেয়র নেই, ইউএনও যেন এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন. সড়কের কাজটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামি ১৫ দিনের মধ্যে এ সংস্কার কাজ করা হবে।