সারাদেশ

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আপন পিতা কর্তৃক মেয়ে, স্বামীর দ্বারা স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ নির্যাতন ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রী ও মেয়েরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সোমবার (১৯ মে) গঙ্গাচড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানানো হয়, গঙ্গাচড়া মেডিকেল গেট এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন ৪২ বছর আগে হামিদা আক্তারকে বিয়ে করেন। হামিদার এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। এরপর জাহাঙ্গীর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

জাহাঙ্গীর হোসেন মেডিকেল গেট এলাকার বাড়িসহ বসতভিটার সাড়ে ১১ শতক জমি প্রথম স্ত্রী হামিদাকে হেবা দলিল করে দেন।

এরপর তিনি গঙ্গাচড়া মুন্সিপাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়াকেও জমি দলিল দিয়ে সেখানে বসবাস করতে থাকেন।

১ম স্ত্রীর সন্তান ইউসুফ আলী বাপ্পী তার মা ও ছোট ৩ বোনকে নিয়ে সংসার চালিয়ে আসে এবং নিজে খরচ বহন করে ৩ বোনকে বিয়ে দেন।

২০১৯ সালে কিডনি জনিত সমস্যায় ইউসুফ আলী বাপ্পী মারা গেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ছেলে ইউসুফ আলী বাপ্পীর ক্রয়কৃত ৩০ শতক জমি দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়াকে দলিল করে দেন। এবং প্রথম স্ত্রী হামিদাকে বাড়িসহ দলিল দেওয়া জমি ফেরত চান। হামিদা জমি ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে হামিদাসহ তার মেয়েদের ওপর জাহাঙ্গীর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানরা অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকেন।

তাই উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী হামিদা ও তার তিন মেয়ে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম স্ত্রী হামিদা আক্তার, ৩ মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী, রুজিনা পারভীন ও মমতাজ বেগম উপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুজিনা পারভীন।