ঝিনাইদহে সক্রিয় হানিট্র্যাপ চক্রের ফাঁদ
প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ | ২০ মে ২০২৫, ১৬:০৫

ঝিনাইদহে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে একটি হানিট্র্যাপ চক্র।
স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া বিয়ের কাবিননামা বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েকজন যুবকের কাছ থেকেও চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে টাকা।
আইনজীবী সহকারি (মোহরার) ও পুলিশ সদস্যসহ চক্রটিতে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে।
এ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে, ভুয়া কলরেকর্ড ফাঁসের হুমকি দিয়ে ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
এসব অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার (২০ মে) ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান এক ভিকটিম। এ সময় হানিট্র্যাপ চক্রের মূলহোতা আসমা খাতুন সাথীর শ্বশুর কামাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতারক চক্রের মূলহোতা আসমা খাতুন সাথী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষকে ফাঁদে ফেলে থানায় ভুয়া অভিযোগ দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন।
ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, অর্থ লেনদেনের মতো ভুয়া অভিযোগ দিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
গুলশান আরা ও মর্জিনা খাতুন নামের দুই ভিকটিম অভিযোগ করেন, বারবার নিজের ঠিকানা পাল্টে, স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে আসমা খাতুন সাথীর নেতৃত্বে চক্রটি বহু পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে।
মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে সহজ-সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতিনিয়ত তারা টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আদালতের মোহরার ও কতিপয় অসাদু পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় ওই নারী বেপরোয়া মামলাবাজি করে চলেছেন।
ভিকটিমরা জানান, সাথী ও তার চক্রের ফাঁদে পড়ে তিনটি সংসার ভেঙে গেছে। অনেক পুরুষ মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নারীরা মামলার ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
এ পর্যন্ত ঠিকানা বদল করে প্রতারক আসমা খাতুন সাথী খুলনা ও ঝিনাইদহের আদালতে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া অভিযোগে ৮টি মামলা করেছেন।
এসব মামলার বিচারকার্য শুরুর আগেই চক্রটি কথিত বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভয়-ভীতি দেখান।
এক পর্যায়ে সহজ সরল মানুষগুলো চক্রের ফাঁদে পড়ে লাখ লাখ টাকা দিয়ে মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আসমা খাতুন সাথীর সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।