রুপসায় কৃষককে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করার অভিযোগে মানবন্ধন

প্রকাশ | ২২ মে ২০২৫, ১৩:১০ | আপডেট: ২২ মে ২০২৫, ১৩:২৩

রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি
বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করার অভিযোগে মানববন্ধন । ছবি: যায়যায়দিন

রূপসা উপজেলার  সীমান্তে কামটা  গ্রামের কৃষক মাহাতাব শেখ (৪২) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২১ মে বিকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে কামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হাজারো মানুষ সড়কের উপর মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।

মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করছে না বলে বক্তারা জানান।

এ সময় বক্তারা বলেন, কামটা গ্রামে মোস্তফা শেখ ও কওসার মোল্লা বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে মোস্তফা শেখ ও কওসার মোল্লার মধ্যে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে মোস্তফা শেখ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের বিরোধ আরো বেশি দেখা দেয়।

কিছুদিন আগে মোল্লা পক্ষের লোকজন নিহত মাহাতাপ কে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়।  মোল্লা বংশের লোকজন বেশি ও আত্মীয় স্বজন প্রশাসনের মধ্যে থাকায় তারা এলাকাবাসীর উপর হামলা ও মামলা করে নির্যাতন চালায়।

নিহত মাহাতাপ শেখ উপজেলার কামটা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ শেখের ছেলে এবং নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা শেখের মেজ ভাই।

ইউপি সদস্য বর্তমানে জেল হাজতে থাকার সুযোগে মাহাতাপকে হত্যা করেছে তারা।

নিহতের ভাইপো মহাসিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার ১৬ মে রাতে মাহাতাব শেখ নিজ বাড়ির পাশে পোল্ট্রি ফার্মে ঘুমিয়ে ছিলেন।

এসময় প্রতিপক্ষের একদল ব্যক্তি সেখানে গিয়ে হামলা করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে আশ্রয় নেন শওকাতের বাড়িতে।

সেখান থেকে তারা মাহাতাপ কে উদ্বার করে। আহত অবস্থায় প্রথমে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাহাতাব মারা যায়। মোল্লা পক্ষের লোকজন আমার চাচাকে জীবনে শেষ করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। যা চাচা তাদের জানাত।

নিহতের ভাগ্নে সুইট বলেন, আমার মামার শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ ও তাকে মারপিট করে নিলয় ও নয়ন মোল্লা পক্ষের লোকজন  হত্যা করেছে।

অথচ তারা প্রচার করছে সাপের কামড়ের তার মৃত্যু হয়েছে। সাপের কামড়ের কোন লক্ষণ তার শরীরে ছিল না। নিহতের লোকজনকে এখনও তারা  হুমকি দিচ্ছে এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ ধরছে না।

ঘটনার পর নিহতের ভাই রিপন শেখ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর-৭, ধারা-৩০৪/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি কামটা গ্রামের ইমরান মোল্লা রিপন (৩০) কে গ্রেপ্তার করে জের হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহাসিন শেখ, সুইট, রমিছা বেগম, কাদের শেখ, রস্তুম শেখ, লিটন শেখ, ইব্রাহিম, সাগর, আজিজুল মিয়া, বিল্লাল, আইয়ুব মিয়া, মোতালেবসহ হাজারো জনতা।