বিপুল পরিমাণ  ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি

প্রকাশ | ২২ মে ২০২৫, ২১:৫৯

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
ছবি : যায়যায়দিন

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলাজুড়ে মহেশপুর ( ৫৮)  ব্যাটালিয়নের সীমান্ত এলাকা  থেকে বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা বিপুল পরিমান ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি সদর দপ্তরে খালিশপুরে এই মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। 

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির যশোর রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ন কবীর।  বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া বিজিবির সেক্টর কমান্ডার আহসান হাবিব। 

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন  বিজিবির মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম।

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে  চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ  জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল ২৫ হাজার ৮১৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৩৮ হাজার ৯৮০ বোতল মদ, ১৩০ কেজি গাঁজা, ৬৫ হাজার ১৭৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৭ কেজি হেরোইন, ৭৯ কেজি কোকেন, ক্রিস্টাল ম্যাথ আইস ৭ কেজি, এলএলডি ২৯ বোতল, ২১ হাজার ৩১৬ পিস ভায়াগ্রা ট্যাবলেট, ট্যাপেন্টাল ট্যাবলেট ৩০ হাজার ৭০ পিস, ভারতীয় ঔষধ ৯ হাজার ৮৪৫ পিস এবং বাংলাদেশী ওষুধ ৯ হাজার ৯৬০ পিস।

বলেন, যশোর রিজিয়নে ৭ টি ব্যাটালিয়ন আছে। বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত সুরক্ষায় তাদের অত্যন্ত দ্বায়িত্বশীলতার সাথে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করে। 

ভবিষ্যতে যাতে ভারত থেকে মাদক বাংলাদেশে না  আসে সে উদ্যোগ গ্রহন করা বেশি জরুরী বলে মনে করি। এর জন্য সকলের ব্যক্তিগত পর্যায়ের সচেতনতা প্রয়োজন। 

তিনি আরো বলেন, অনুসন্ধানে আমরা দেখেছি সীমান্ত এলাকায় কেবল মাদক বহনকারীরা থাকে। আর এতে যারা ইনভেস্ট করে তারা সমাজের উঁচু পর্যায়ের মানুষের সাথে যোগাযোগ রেখে চলে। কেউ কেউ জেলা শহরে থাকে।  কেউ কেউ রাজধানীতে চলে গেছে  । তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি। 

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে বিজিবি মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, ধ্বংস করা মাদক দ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ টাকা।  ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই ১৫ মাসে মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্ত থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে বিজিবি।