সালথায় গ্রামবাসীর অর্থায়নে কাঁচা রাস্তা তৈরি
প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৫, ১৬:৪৬

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামে কাঁচা রাস্তা তৈরি করেছেন গ্রামবাসী। বক্কার ফকিরের বাড়ি হতে মানু শেখ ও ইলিয়াছ মাষ্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১১শ ফুট কাঁচা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে । তাদের নিজ অর্থয়ানে এই রাস্তাটি তৈরি করেন তারা। এখন উপজেলা প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীর দাবী রাস্তাটির মাঝে একটি কালভার্টের।
কামদিয়া গ্রামের কামাল মাতুব্বার, শাহআলম ফকির, বক্কার ফকির, কাইয়ুম ফকির, সেন্টু ফকির, আলিম ফকির, ইলিয়াছ মাষ্টার জামাল শেখ ও মানু শেখ বলেন, আমাদের গ্রামের দক্ষিন পাশে কোন রাস্তা না থাকায় গ্রামবাসীর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে রাস্তাটি তৈরি করার দাবী জানিয়েছিলো স্থানীয় জনগণ। কিন্তু সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষক নেতা মোঃ জাহিদ হোসেন মাষ্টারের পরামর্শ ও সহযোগিতায় গ্রামবাসীর অর্থায়নে সরকারী হালটের উপর দিয়ে ১১ ফুট কাঁচা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। আপাতত এই রাস্তাটির মাঝে পলাশ শেখের বাড়ির সামনে একটি কালভার্ট করা জরুরী। ইতিমধ্যে রাস্তায় কালভার্ট চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, কাঁচা রাস্তায় বর্ষা মৌসুমে কাদাপানি সৃষ্টি হবে অবশ্যই। পরবর্তীতে জনপ্রতিনিধির প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি করেন গ্রামবাসী।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ ওহিদ মাতুব্বর বলেন, বিগত চার বছরে মেম্বার হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন কাজ পাই নি আমি। আমার ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যে কামদিয়া গ্রামের রাস্তাটি অনেক বড় রাস্তা। এই রাস্তাটি করার মতো বরাদ্দ আমি পাইনি। তারপরও গ্রামবাসীর উচিত ছিলো রাস্তাটি কাটার আগে আমাকে জানানো। তাহলে আমিও তাদের সাথে শরীক হতে পারতাম। রাস্তা তৈরি করার জন্য গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। এরপর যে কাজ আছে আমি করার চেষ্টা করবো।
শিক্ষক নেতা মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, কামদিয়া গ্রামে রাস্তা না থাকায় আমি গ্রামবাসীকে নিজ উদ্যেগে রাস্তা করার পরামর্শ দেই। সেই সাথে কিছু আর্থিক সহযোগিতাও করি। এরপর গ্রামবাসী সবাই মিলে ১১শ' ফুট দৈর্ঘ্য একটি কাঁচা রাস্তা তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে পারলে আমার ভালো লাগে। সব সময় মানুষের কল্যাণ চিন্তা করি। এর বাইরে আর কিছু না।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ) থেকে বরাদ্দ পেলে অন্যথায় উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় প্রকল্প গ্রহণ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়া হবে।