নেছারাবাদে ভূমি মেলা- ২০২৫ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৫, ১১:০১ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৫, ১১:২৯

নেছারাবাদ (পিরোজপুর)  প্রতিনিধি
ভূমি মেলা ২০২৫ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ছবি-যায়যায়দিন

পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলায় আজ সকালে “ভূমি মেলা - ২০২৫” উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 নেছারাবাদ উপজেলার ভূমি অফিসের আয়োজনে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড, ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সহযোগিতায় এই ভূমি সেবা প্রদান চালু করা হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ডিজিটাল সেবার প্রচলন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করাই এই মেলার মূল উদ্দেশ্য।

র‍্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মাহমুদের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। 

র‍্যালির অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যাতে ভূমি সেবা সংক্রান্ত তথ্য ও সচেতনতামূলক বার্তা ছিল।

র‍্যালি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মাহমুদ।

 তিনি বলেন, “ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান ও জমির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’—এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ভূমি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও স্বচ্ছ সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন নামজারি, খতিয়ান যাচাই, মৌজা মানচিত্র প্রাপ্তি এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনলাইনে করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে ঘরে বসেই ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে পারে এবং দালাল চক্রের শিকার না হয়, সে জন্যই এই ভূমি মেলার মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরূপকাঠি পৌর সভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মানিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা। বক্তারা ভূমি সংক্রান্ত অনলাইন সেবার প্রসার এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রশংসা করেন।

মেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে স্টল স্থাপন করা হয়।যেখানে আগত দর্শনার্থীরা সরাসরি সেবা গ্রহণ এবং তথ্য সংগ্রহের সুযোগ পান। ভূমি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়, যা দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে।

পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। সাধারণ জনগণ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং প্রশাসনের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন সুদৃঢ় করে।

ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের মেলা আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা।