বরগুনায় ডাকাতকে গুলি করে মারল গ্রামবাসি
প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৫, ১৫:৩৩ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৫, ১৫:৪২

বরগুনার বামনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাতদলকে ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গ্রামবাসীর লাইসেন্সকৃত বন্ধুকের গুলিতে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
শনিবার ( ২৪ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামে।
আজ রবিবার(২৫ মে) সকাল ১১ টায় বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ওই ডাকাত মরা যায়।
নিহত ওই ডাকাতের নাম মো. আনোয়ার হোসেন(৫০) ওরফে রিপন। সে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের লক্ষনা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হোগলপাতি গ্রামের আফজাল মাষ্টারের বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিষয়টি টেরপেয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এসময় সংঙ্গবদ্ধ ডাকাতদল গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে একাধিক রাউন্ট গুলি ছোড়ে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সুমন জোমাদ্দার নামে একজনের লাইসেন্সকৃত বৈধ বন্ধুক থাকায় তিনিও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় একডাকাত গুলিবিদ্ধ হয় বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি বামনা থানায় জানালে পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে উদ্ধার করে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে রবিবার ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও লাইসেন্সকৃত বৈধ বন্ধুকের মালিক সুমন জমাদ্দার বলেন, আফজাল মাস্টার মোবাইল ফোনে আমাকে ডাকাতের বিষয়টি জানালে আমি বন্ধুক নিয়ে মটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অনেক গ্রামবাসী জড়ো হয়। আমি সবাইকে নিয়ে যখন বাড়ির মধ্যে ঢুকতে যাই তখন আমাদের লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি করে। পরে আমিও ৫ রাউন্ট গুলি চালাই। তখন ডাকতরা পালিয়ে যায়। একটু সামনে গিয়ে দেখি একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে৷
তবে আমার গুলিতে সে মারা গেছে কিনা বলতে পারবো না। যেহেতু ডাকতরাও গুলি করেছে তাদের গুলিতেও নিহত হতে পারে।
এবিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রামবাসীর সাথে গোলাগুলিতে ডাকাত আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। নিহত ডাকাত আনোয়ার হোসেনের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করার সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান ৩ রাউন্ট গুলিসহ ৪টি মোবাইল পাওয়া গেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হবে।
তবে কার গুলিতে ডাকাত নিহত হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কার গুলিতে সে নিহত হয়ে তা ময়না তদন্তের পূর্বে বলা যাচ্ছে না।