৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম, দুই গরু জবাই করে পিকনিক

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৫, ০৯:৪৭

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
আহত কয়েকজন কৃষক চিকিৎসা নিয়েছেন-যাযাদি

পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মানদীতে বালু মহাল দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যকার উত্তেজনা ও গুলাগুলির ঘটনার পর অশান্ত হয়ে উঠেছে চরাঞ্চল। 

এবার সেই চরে চাষাবাদ করতে গিয়ে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে চর থেকে কৃষকের দুইটি গরু লুট করে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়ি এলাকার পদ্মার চরে এ ঘটনা ঘটে। 

বর্তমানে চরে কেউ গেলেই তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিটসহ রক্তাক্ত জখম করছেন ওইসব বালু দস্যুরা।

আহতরা হলেন, উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আইযুব আলীর ছেলে আনছার আলী মাঝি (৬৭), আনছার মাঝির ছেলে মজনু হোসেন ( ৩৫), একই উপজেলার মাঝদিয়া এলাকার সাদেক আলীর ছেলে মাছিদুল ইসলাম (৩৬) ও মজিদুল ইসলাম (৪০), দুলাল খাঁ’র ছেলে লিটন খাঁ (৪০) এবং সোহান, আরাফাত ও এজাজুল।

আহতদের মধ্যে আহত লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতরা সবাই প্রান্তিক কৃষক। পদ্মানদীতে জেগে উঠা নিজস্ব ও লীজ নেওয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন।

আহত আনছার মাঝি, মজনু, মাছিদুল, সোহান ও আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, পদ্মানদীর চরে ও নদী থেকে বালু উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনির সঙ্গে বালু দস্যু কাকনের মধ্যে কয়েকদিন আগে হামলা, গুলাগুলির ঘটনা ঘটছে। 

কিন্তু আমরা কৃষক। আমরা তো কারও পক্ষের লোক না। পদ্মানদীতে জেগে ওঠা আমাদের পৈত্রিক জমিতে চাষাবাদ করি। রোববার সকালে আমরা নৌকা যোগে চাষাবাদ করার জন্য চরে যাই। সেই সময় কাকনের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করেছেন। তারা আমাদের দুটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছেন।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও দেয়নি।’