নারায়ণগঞ্জে জুলাই যোদ্ধা পরিবারের পাশে সেলিম প্রধান
প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৫, ১০:০৫ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৫, ১০:১৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধা ও ছাত্রদল কর্মী কাজী মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
সে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেই জুলাই বিপ্লব যোদ্ধার পরিবার পাশে দাড়ালেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ২৫ মে আহত ছাত্রদল কর্মী কাজী মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন তিনি। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনকারী ছেলেটা এখন আইসিইউতে ভর্তি আছে। সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করেছে, সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আপনারা ঘরে বসে থাকবেন না। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেই সাবেক মন্ত্রী গাজীর লোকজন এখনো ফের বেশ পাল্টে একই তান্ডব চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি রূপগঞ্জ উপজেলা কে মডেল হিসেবে তৈরি করতে চাই। দেশের যে কোন উপজেলাকে রূপগঞ্জের সাথে তুলনা করলে দেখবেন, এই উপজেলার মত এতো অপরাধ আর কোথাও নেই।
রূপগঞ্জবাসী আগে যেমন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এখনো তেমনি হচ্ছে। কোন পরিবর্তন নেই। এ উপজেলায় অনেক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজদের ভয় পায়। আমি তাদেরকে বলবো আমার সাথে যোগাযোগ করেন, আমি তাদের নিরাপত্তা দেব। আমি দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছি। আমার একটাই লক্ষ আমি রূপগঞ্জকে পরিষ্কার করে ছাড়বো।
এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন।
এদিকে আহত ছাত্রদল কর্মী কাজী মেহেদী হাসানের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এ সময় আহত ছাত্রদল কর্মীর চাচা কাজী মো. নুরুল আলম বলেন, আমার ভাতিজা একজন জুলাই যোদ্ধা। এই এলাকার মাদক, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে আজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে। গত সোমবার বিকেলে এলাকার সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা তাকে মারধর করে হাত-পায়ের ও পাজরের হাড় ভেঙে ফেলেছে। এখন সে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে।
হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুলাল, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, জিপু, গৌতম, ভুট্টো সহ অর্ধশতাধিক লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের দোসর। এই দোসররা বিএনপি লোকদের ছত্রছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯ মে সোমবার বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া পোরাবো এলাকায় এ ছাত্রদল কর্মী ও জুলাই যোদ্ধা কাজী মেহেদী হাসানের উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে।
হামলার শিকার কাজী মেহেদী হাসান রূপগঞ্জ থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম কনকের ছেলে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর সুপারম্যাক্স হেলথকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।