সরকারের দায়িত্ব হলো হাতি গুলোকে রক্ষা করা: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৫, ২০:২৩

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

সরকারের পরিবেশ , বন ও  জলবায়ূ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গাড়োপাহাড় দাওধারা কাটাবাড়ি  প্রস্তাবিত পর্যটন পরিদর্শন কালে তিনি বলেন সরকারের দায়িত্ব হলো হাতি গুলোকে রক্ষা করা। হাতির উপযোগী গাছ লাগাতে হবে। 

ডিসি সাহেবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন খাসজমি থাকলে দিবেন হাতির জন্য বনায়ন করতে হবে। সরকারকে আলাদা করার সুযোগ নেই। একাশি ও আকাশমণি গাছ কেটে ফেলতে হবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাতি - মানুষের দন্দ কমাতে হয় তার হাটার জায়গা ও খাওয়া দিতে হবে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বালু ও পাথর উত্তোলন কারীদের বিষয়ে  উপদেষ্টা বলেন কখনোই আসল যারা হোতা  তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নাই। আমি উল্টোটা দেখেছি মেঘনার বালুর উত্তলনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছে আমরা দেখেছি।  সরকারের পক্ষ থেকে  ডিসি , এসপি,  ডিভিশনাল কমিশনারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি । অনেক জেলা প্রশাসক ভাল পদক্ষেপ নিয়েছেন। অনেকে পদক্ষেপ নিতে পারে নাই সেখানে  তো এক দিনেই পরিবর্তন হবেনা এখানে পরিবর্তনটা আনতে হবে । 

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন শ্রমিক ধরে আনলে হবেনা। শ্রমিকের পিছনে কে আছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের জানতে হবে।  মূল হোতাকে ধরেন  বার বার রিপোর্টে লেখে দিবেন কাউকে পাওযা যায়নি বেকু নিয়ে আসছি  এ রিপোর্ট  সরকার নিবে না । তাহলে পুলিশের কাজ কি অপরাধীদেরকে খোঁজে বের করা।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বন্য ভূমি দখলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন কারও যদি অন্য কোথাও আশ্রয় না থাকে তাহলে সরকারের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হবে। সে তো আমার বন্য ভূমিতে থাকতে পারবেনা। বন্য ভূমিতে যারা থাকছেন ঘর বাড়ী করার পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব থাকে তারা ওখান থেকে ভাড়া নেয়। 

আমরা যখন উচ্ছেদ করতে যাই তখন তারা বলে সব গেল সব গেল বলে দরিদ্রদের বিরুদ্ধে সরকার দাড়িয়েছে এমন কথা বলে তারা। বন্য ভূমিতে আশ্রয়ন কেন্দ্র হতে পারেনা। দরিদ্র মানুষদেরকে বন ভূমিতে ঘর বাড়ী করে আশ্রয় দিতে পারিনা।  সরকারের খাস জমি আছে জেলা প্রশাসক ও বন বিভাগ এক সঙ্গে কাজ করতে পারে। 

উপদেষ্টার গাড়ী বহরের সামনে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা। এতে ছয় সাংবাদিকের পর হামলা করেছে স্থানীয়রা।