গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে আহসান হাবিব (১২)নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মাদারহাট ব্রিজের নলেয়া নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত আহসান হাবীব ওরফে বোরহান উদ্দিন ইদিলপুর ইউনিয়নের তরফ পাহাড়ি গ্রামের আসাদুজ্জামান এর একমাত্র ছেলে ও তরফ সাদুল্লাপুর দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়সুত্রে জানা যায়,আহসান হাবিব ঘটনার দিন নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।খবর পেয়ে পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে চৌকস ডুবাড়ী দল নিখোঁজের ৩ ঘন্টা পর নদীর তলদেশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান,বোরহান উদ্দিন ও তার তিন বন্ধু প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।কিন্তু তারা মাদ্রাসায় না গিয়ে মাদারহাট মেলার ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত নলেয়া নদীতে গোসল করতে নামলে বোরহান নদীর পানিতে ডুবে যায়।
এসময সঙ্গীয় বন্ধুরা তাকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।এরপর আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে বোরহানকে নদীতে খোঁজাখুুজি করতে থাকে। পরে পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বোরহানকে উদ্ধারে চেষ্টা চালায়।
এরইমধ্যে রংপুর থেকে ডুবারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌনে একঘন্টা ব্যাপি উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে নদীর তলদেশ থেকে শিশু বোরহানের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় নদীর দুইধারে মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেখতে নারী পুরুষ নানা বয়সের কয়েক সহস্রাধিক মানুষজন ভীড় করতে থাকে।
এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য খোকন বলেন, নিখোঁজের খবর জানার পর পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে থাকি।
ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,৩ জন শিশু নদীর পানিতে ডুবে গেছে এখবর জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশেপাশের লোকজন সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ শিশুটির উদ্ধার তৎপরতা চালাতে থাকি এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।