সুনামগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৫, ২০:১৭

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি' - এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে সুনামগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার সমাপনী দিনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ভূমি সেবা গ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী এই কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। কুইজ প্রতিযোগিতার শুরুতেই অংশগ্রহনকারী সকল শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রানী রায়। এসময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শারমিন বেগম, সহকারী কমিশনার সাহেল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কুইজ প্রতিযোগিতা শেষে সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার বিতরণী ও তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন অন্বেষা চৌধুরী, মনিষা চক্রবর্তী এবং সানি মোহাম্মদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত জ্ঞান এবং সচেতনতা গড়ে তোলা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা যত বেশি ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানবে, তত বেশি সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে। আজকের এই কুইজ প্রতিযোগিতায় তোমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটি প্রমাণ করে যে তোমরা জ্ঞান অর্জনে কতটা আগ্রহী এবং দেশের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই মেলা এবং কুইজ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভূমি আইন, ভূমি কর এবং ভূমি সেবাসমূহ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। শিক্ষার্থীরা এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জমি সুরক্ষিত রাখতে পারবে এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, এই প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছো, তাদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তোমাদের মেধা ও অধ্যবসায় সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আর যারা বিজয়ী হতে পারোনি, তাদেরও আমি সাধুবাদ জানাই। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় কথা। জ্ঞান অর্জনের এই ধারা তোমরা সবসময় বজায় রাখবে, এই কামনা করি।