প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় এসে বিয়ে করলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী
প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৫, ২২:৫৭

সিঙ্গাপুর থেকে প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এসেছেন এক তরুণী।
সোমবার ( (২৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে যুবকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন দু'জনে।
সিঙ্গাপুর থেকে যুবতি আসার খবরে গ্রামবাসী ওই যুবতীকে দেখতে ভিড় জমায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশে আসা ওই তরুণীর নাম জুমাত আরা (২৫)। তিনি ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা।
জুমাত সিঙ্গাপুর একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
জন্মলগ্ন থেকেই তার পরিবার ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
জুমাত আরা বাংলাদেশে আসার পর মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
অপরদিকে বর শোভন (৩৭) তিনি উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলামের ছেলে।
সে দীর্ঘ ১৩ বছর সিঙ্গাপুরের একটি কনকট্রাকশন কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিল।
সম্পর্কের ব্যাপারে শোভন বলেন, ‘ সোমবার বাংলাদেশে আসেন জুমাত। সে সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় পৌছালে আমার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর সিঙ্গাপুরে একটি কনকট্রাকশন কোম্পানিতে চাকুরিরত ছিলাম।
সেখানে চাকরির সুবাদে ফেসবুকে পরিচয় হয় একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে কাজ করা জুমাতের সঙ্গে। পরিচয়ের প্রথমে জানতে পারি, তারা পারিবারিক ভাবে ইন্দোনেশীয়ার নাগরিক।
একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ফেসবুকে টানা ৮ বছর প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ১ বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে আসলে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে দীর্ঘদিন অসুস্থতাজনিত বাড়িতে অবস্থান করি। এখন দু'জনের ইচ্ছায় আমরা বিয়ে করেছি।’
শোভনের পিতা আনারুল ইসলাম বলেন, ‘জুমাত সিঙ্গাপুরে থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন।
সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেছে।
কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় ফিরবে। সেখানে গিয়ে সে দেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।’
এ সময় তিনি তাদের দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
কনে জুমাত আরা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আমি তাদের আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ।
এখানকার সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। শোভন পুরুষ হিসেবে অসাধারণ। সে অনেক কেয়ারিং একটা মানুষ।
আমি ধন্য যে তাকে পেয়েছি।’
শোভনের মা বলেন, ‘জুমাত খুবই ভালো ও মিশুক মেয়ে। তার সঙ্গে আমাদের ভাষার মিল নেই, সংস্কৃতিরও মিল নেই। কিন্তু সে যেভাবে আমাদের সঙ্গে মিশে গেছে, আমি বিস্মিত।
আমি খুবই খুশি হয়েছি তাদের এই আন্তরিকতা ও মনমানসিকতা দেখে।’