দুর্গাপুরে কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ৩৪ মণ ওজনের ‘শান্তলাল’

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৫, ১৫:২৮

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সালা উদ্দিনের ৩৪ মণ ওজনের ‘শান্তলাল’: ছবি যায়যায়দিন

আসন্ন ঈদুল আজহায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৪ মণ ওজনের একটি গরু। পৌর শহরের  চকলেংগুরা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সালা উদ্দিন চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের মতোই মায়া মমতায় লালন-পালন করছেন ব্রাহমা জাতের গরুটি। গরুটি শান্ত স্বভাবের হওয়ায় এর মালিক শখ করে নাম রেখেছেন ‘শান্তলাল’।  

জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সালা উদ্দিনের  পালিত ৬ ফুট উচ্চতা ও ৩৪ মণ ওজনের শান্তলাল নামের গরুটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। বিশাল দেহের হলেও তাকে সামলাতে কোনরকম কষ্ট পোহাতে হয় না। কারণ লালনপালনকারী ও মালিকের কথার বাহিরে যায় না এই গরু। শান্তলালকে  কলা, শাকসবজি, দেশীয় ঘাস, চালের কুড়া, খইলসহ নানা প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রির জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুটির দাম ১০ লাখ টাকা হাঁকছেন মালিক সালা উদ্দিন। কখনও কখনও বাহিরে বের করা হলে ভিড় জমে উৎসুক জনতার।

গরুটির মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সালা উদ্দিন বলেন, ‘চার বছর যাবত ব্রাহমা জাতের এ গরুটি লালন পালন করছি। গরুটি খুবই শান্ত এবং আমরা যা বলি সেটাই শুনে তাই শখ করে তার নাম রেখেছি শান্তলাল। শান্তলালকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিদিন  তার খাদ্য লাগে ৬ থেকে ৭শ’ টাকার। শান্তলালের  ওজন ৩৪ মণ ও উচ্চতা ৬ ফুট। আসন্ন কোরবানি ঈদে শান্তলালকে বিক্রির জন্য হাটে নেব। দাম চাচ্ছি ১০ লাখ টাকা।’

গরুটির পরিচর্যাকারী আকরাম হোসেন জানান, ‘গরুটাকে আমি নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি। চার বছর ধরে প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিচর্যা করেছি। কখনো কৃত্রিম কিছু খাওয়াইনি। কলা, শাকসবজি খৈল, ভূষি, চালের ক্ষুদ, ভুট্টা আর  ঘাস খাইয়ে ওকে বড় করেছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব বলেন, শান্তলাল নামের গরুটি খুব যত্ন করে লালন পালন করেছেন সালা উদ্দিন। পুরোপুরি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছে গরুটিকে। দুর্গাপুর উপজেলার ভিতর এটি সবচেয়ে বড় গরু। এবারের কোরবানির হাটে শান্তলাল সাড়া ফেলবে। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  ডা. অমিত দত্ত জানান, ‘শান্তলাল নামের গরুটিকে সালা উদ্দিন প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করেছেন। তিনি সব সময় এ গরুটির লালন পালন বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন৷ কোরবানির জন্যে  উপযুক্ত সালা উদ্দিনের পালিত গরুটি। দুর্গাপুর উপজেলায়  এটি সবচেয়ে বড় গরু যা কোরবানির হাটে সাড়া ফেলবে।’