অসদাচরণের অভিযোগে সদরপুরে সাংবাদিক শিশিরকে বয়কট

ছবি: যায়যায়দিন

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণের জন্য উপজেলার সাংবাদিক সমাজ শিশির খান কে বয়কট করেছে। 

আজ সোমবার (২ জুন) সদরপুর শিল্পকলা একাডেমী কক্ষে সকাল ১১টায় সদরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা এক জরুরী সভার আয়োজন করেন ওই সভায় সদরপুর-চরভদ্রাসন উপজেলা (কালের কন্ঠ) পত্রিকার প্রতিনিধি শিশির খানের অসদাচরণ ও হুমকি ধামকির জন্য স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে তাকে প্রাথমিক ভাবে বয়কট ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে সদরপুর উপজেলা ডিজিটাল প্রেসক্লাব থেকে তাঁর সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

স্থানীয় সাংবাদিকদের ভাষ্য, শিশির খাঁন উপজেলার সিনিয়র ও জুনিয়র সহকর্মীদের সাথে অসদাচরণ,হুমকি-ধামকিসহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। এ ছাড়া সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে অশালীন আচরন ও তাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন ওই সাংবাদিক।

এ বিষয়ে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সাঈদুর রহমান লাবলু বলেন, এ ধরনের হলুদ সাংবাদিককে বয়কটের মাধ্যমে উপজেলার সাংবাদিক মহল কলঙ্ক মুক্ত হল। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরকে বয়কটকৃত শিশিরকে তথ্য আদান প্রদানসহ সব ধরণের সহযোগীতা না করার আহŸান জানান।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি শিমুল তালুকদার বলেন, এ ধরনের সাংবাদিকদের প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য সবাইকে আহŸান জানাই।

দৈনিক সমকালের সদরপুর প্রতিনিধি মো.সাব্বির হাসান বলেন, হুমকি দামকি দিয়ে কোনো সাংবাদিকতা করা যায় না। সিনিয়রদের সম্মান করতে হবে। কোনো ভাবেই খারাপ লোকদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি সোবাহান সৈকত বলেন, আমার সাথে প্রথমে বেয়াদবি করলে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম এখন সবার সাথে শুরু করেছে। এর প্রতিহত করতে হবে।

জাগরণী টিভির প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন জানান, ইতোপূর্বে শিশির আমাদের কয়েক জনের সাথে চরমভাবে বেয়াদবি করেছিল। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। ওই ঘটনায় তাকে একবার বয়কট ও অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। কিন্তু সে আবার সবার থাকে একই কাজ শুরু করেছে।

দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি প্রভাত কুমার সাহা বলেন, এরপূর্বেও তাকে তার বেয়াদবির জন্য বয়কট ও অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছিল কিন্তু কিছু ব্যক্তির কারনে সে পুনরায় আবার শুরু করেছে বিধায় তাকে সবাই একত্রে তাকে বয়কট করলাম।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন, শিশির খান আমার হোয়াটসঅ্যাপে সে কিছুদিন যাবত সময়-অসময় মেসেজ দিয়ে আসছিল এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিউজ করে আমাকে হয়রানি করার হুমকি দেন।

সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক ভোরের ডাকের প্রতিনিধি আবুল বাশার মিয়া, দৈনিক সকালের সময় রানা অর্নব,বাংলা টিভির প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি তানভীর তুহিন, আমার বার্তা প্রতিনিধি মোঃ রোজনুজ্জামান, কে এম আবু সাইদ, মোঃ মামুনুর রশিদ, এম এম শাহজাহান বাকি মিয়া, সরোয়ার হোসেন, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ সালাউদ্দিন, মুফতি জাকির হোসেন, ইমারত হোসেন বাচ্চু, মোঃ ওয়াজেদ আলী, মিজানুর রহমান, মোঃ ফরিদুল ইসলাম, ফকির আল মামুন, মোঃ ইদ্রিস আলী জমাদ্দার, আঃ মজিদ মুরাদসহ অন্যান্যরা। সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বয়কটের রেজুলেশন কপি প্রদান করেন উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা।