নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করছে
প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪৪

টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নবীগঞ্জ উপজেলার সকল নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে দীঘলবাক ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে গালিমপুর-মাধবপুর প্রাইমারী স্কুলে ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ টন চাল ও ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ দিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক। মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান বর্ন্যাতদের মাঝে চাল ও শুকনো খাবার বিদরণ করেছেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইতিমধ্যে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানাগেছে। সরকারী ভাবে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান মাধবপুর গালিবপুর আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
খোজঁ নিয়ে জানাযায়, কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ডাইক উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। কুশিয়ারানদী বিপদ সীমার ৮.৫৫ সেঃমিঃ উপর দিয়ে বইছে। সময় যত যাচ্ছে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংখ্যা করছেন স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুরসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কসবা, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, ঢালার পাড় এবং ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংখ্যা রয়েছে।
মাধবপুর স্কুলে ঈদের আগেই বন্যার্ত ৩০ পরিবারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান সরকারীভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে বনার্তদের মাঝে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮.৫৫ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের সার্বিক তদারকি করছেন ওয়ার্ড মেম্বার আকুল মিয়া।