মুন্সীগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামকে বিদায় সংবর্ধনা
প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৫, ১৫:৫৩

মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামকে বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন জেলার সাংবাদিকরা।
আজ বুধবার (৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে আদালতের বিচারকের খাস কামরায় ফুল দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জি টিভির জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট শহীদ ই হাসান তুহিন, টঙ্গীবাড়ি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মানবকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট ব.ম শামীম, দৈনিক লাখোকণ্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও বিক্রমপুর চিত্র পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি শ্রীকান্ত দাস।
জানা গেছে, বিচারক শহিদুল ইসলাম দক্ষতার সহিত মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করেছেন। তিনি মামলা নিস্পত্তি করে ২০২২ সালে প্রথম, ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ও ২০২৪ সালে সর্বচ্চ মামলা নিস্পত্তিকারী হিসেবে তৎকালীন ও বর্তমান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।
তিনি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীনে পরিবেশের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গত জানুয়ারি হতে ১০ দিনে ২৭টি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৮১ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা করেন। জেলার গড়ে ওঠা বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানা, হিমাগার, বালুর ব্যবসায়ীদের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
এছাড়াও তিনি মামলায় প্রবেশনের ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। আদালতের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে কোর্ট হাজতখানায় মহিলা ও পুরুষ হাজতীদের জন্য লাইব্রেরির ব্যবস্থা করেন। আদালত ভবনের প্রতিটি তলায় বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মাতৃদুগ্ধ পান কেন্দ্র সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন।
বিচারক শহিদুল ইসলামের এমন মহৎ কাজের জন্য আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবীরা তাকে সাধুবাদ জানান।
বিদায় সংবর্ধনার সময় ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জবাসী ও সাংবাদিকদের অসংখ্য ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আমি মুন্সীগঞ্জের পরিবেশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেশ কিছু কাজ করেছি। সেটা এ জেলাবাসীর ভবিষ্যতে উত্তরোত্তর সাফল্য বৃদ্ধি হবে বলে আশা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশের ওপর আমি যতটুকু কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, ঠিক সেভাবে মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সমাজের মানুষের কাছে সঠিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।
তাছাড়া মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় রুখে দাঁড়ান, সব সময় সঠিক সংবাদ প্রকাশ করেন এটাই আমি এ জেলায় থাকাকালীন দেখেছি। এতে আমি জেলার সাংবাদিকদের প্রতি অনেক সন্তুষ্ট হয়েছি।’
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ই হাসান তুহিন বলেন, সাড়ে তিন বছরের মত মুন্সীগঞ্জে থাকাকালীন সময়ে ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আদালতের বিচার প্রার্থীদের সুবিধার্থে অনেক কাজ করেছেন যাহা প্রশংসনীয়।
তাছাড়াও তিনি আইনজীবী ও সাংবাদিক বান্ধব লোক। পরিবেশের উপর তিনি যথেষ্ট পরিমাণ কাজ করেছেন। এমন বিচারক যেখানেই থাকবে আশা করি ভালো থাকবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।