গাইবান্ধায় এডাব্লিউডির প্রশিক্ষণ বিলম্বে দুর্ভোগে কৃষক
প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৫, ১৬:০৭

গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণের ওপর নির্ভর করে দেশের কৃষি উৎপাদন। এ লক্ষ্যে কৃষি অধিদপ্তর থেকে যথাসময়ে কৃষকদের দেওয়া হয় নানা ধরনের প্রশিক্ষণ।
সেই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে কৃষক ফলান সোনার ফসল। কিন্তু গাইবান্ধায় কৃষকদের বোরো ধান চাষে সেচের পানি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের আধুনিক বিকল্প পদ্ধতি এডাব্লিউডি (Alternate Wetting and Drying) প্রশিক্ষণ আমন মৌসুমে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে আধুনিক এ পদ্ধতির প্রয়োগ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), গাইবান্ধা সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মোট ১ হাজার ২ শ ৫০ জন চাষিকে বোরো ধান চাষে সেচের পানি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের আধুনিক বিকল্প পদ্ধতি (এডাব্লিউডি)র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল বোরো চাষের সময়। এজন্য অর্থ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে ওই সময়।
কিন্তু বোরো মৌসুম শেষ হলেও এখনো শেষ হয়নি সেই প্রশিক্ষণ। ৫০টি গ্রুপের মধ্যে এখনো বাকি রয়েছে দুটি গ্রুপের প্রশিক্ষণ। আর উপজেলায়গুলোয় বিএডিসি কার্যালয় থাকলেও জেলায় প্রশিক্ষণ হওয়ায় কৃষকদের বেড়েছে যাতায়াত ব্যয় ও হয়রানি। পাশাপাশি বিলম্বিত প্রশিক্ষণে বিস্মিত হয়েছেন প্রশিক্ষণরত কৃষকরাও।
প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সুন্দরগঞ্জের উত্তর শ্রীপুরের কৃষক শাহাআলম বলেন, এই প্রশিক্ষণ বোরো মৌসুমে হওয়ার কথা থাকলেও বিলম্বিত হয়েছে। বোরো মৌসুমে প্রশিক্ষণটি হলে আমরা উপকৃত হতাম। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হতো। অন্তত ৩-৪টি সেচ কম লাগতো।
ধান উৎপাদন ভালো হতো। আর নিজ নিজ উপজেলা বিএডিসি অফিসে প্রশিক্ষণ হলে আমাদের যাতায়াতের খরচ ও বিড়ম্বনা কমতো। একই এলাকার কৃষক মাহবুবুর রহমান বলেন, কী আর বলবো এতো দেরিতে প্রশিক্ষণ হলো! বোরো মৌসুম তো অনেক দেরি। আগামী বোরো মৌসুম আসতে আসতে এ প্রশিক্ষণ তো অনেকেই ভুলে যাবে।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে দায়িত্বরত আনসার সদস্য বলেন, ভেতরে প্রশিক্ষণ চলছে, এ কারণে মূল গেইটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে বিএডিসি(ক্ষুদ্র সেচ) গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকী সিদ্দিকীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এক ঘন্টা পরে আসার জন্য বলেন।
প্রশিক্ষণ দেরীর বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের লোকবল কম, নানা ব্যস্ততার কারণে বিলম্ব হয়েছে। ২৫ জন কৃষকের একটি করে ব্যাচ ১ দিনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। আরো দুটো ব্যাচের প্রশিক্ষণ বাকি আছে। চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই প্রশিক্ষণ শেষ করবো।