মজুতকৃত লাভের পাথর প্রায় পৌনে ৪শ’ কোটি টাকা

পার্বতীপুরের ঘুরে দাঁড়িয়েছে মধ্যপাড়া পাথর খনি

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৫, ১৬:২০

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনিটি লোকসান কাটিয়ে লাভজনক হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে খনির ১৪টি ইয়ার্ডে প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন পাথর মজুত রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পৌনে ৪শ’ কোটি টাকা। 

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৪ জুন পর্যন্ত ২৪৫ কোটি টাকার ৯ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হয়েছে। দেশের একমাত্র খনিটি বাণিজ্যিকভাবে ২০০৭ সালে পাথর উৎপাদনে যায়। কিন্তু প্রতিদিন পাথর উত্তোলন হয় ৭০০ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন। ফলে খনিটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। 
২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সরকারের সঙ্গে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোস্ট্রয় ও জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে গঠিত জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সঙ্গে। 
জিটিসি ইউক্রেন, রাশিয়ান ও বেলারুশের সুদক্ষ মাইনিং বিষেশজ্ঞ দল ও দেশীয় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পাথর খনি থেকে দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে। 
ফলে খনিটি লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। জিটিসির হাতে খনিটি লাভজনক হলেও অপপ্রচার চলছেই খনির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিটিসির বিরুদ্ধে।

জিটিসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তাদের হাত ধরে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মধ্যপাড়া পাথর খনিটি লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। সেটি টানা ৫ বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। 
জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) খনির দায়িত্ব গ্রহণের পর জিটিসিকে নানা প্রতিকূলতা ও অপপ্রচারের শিকার হতে হয়েছে। জিটিসির বিরুদ্ধে পূর্বের ধারাবাহিকতায় মিথ্যা প্রোপাগান্ডা এখনো চলমান। 
সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জিটিসি দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ ও দেশীয় খনি শ্রমিক দিয়ে খনিটিকে সচল রেখেছে।    

এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডি.এম জোবায়েদ হোসেন বলেন, বর্তমান চুক্তিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পাথর উত্তোলন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি। যার পরিমাণ এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। 
জিটিসির এই পাথর উত্তোলন এই ধারায় অব্যাহত থাকায় উৎপাদন খরচ, ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করে খনির ইয়ার্ডে মজুতকৃত লাভের পাথর প্রায় পৌনে ৪শ’ কোটি টাকার। আর এই লাভের পাথর বিক্রয় হলে খনিটি আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।