সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ

মৌলভীবাজারে ডাকাতি, জোড়া খুন ও টাকা আত্মসাতে আটক ৬

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৫, ১৭:১৮

স্টাফ রিপোর্টার,মৌলভীবাজার
যায়যায়দিন

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত চক্রকে শনাক্ত, কমলগঞ্জে দুই ভাইজি হত্যা ও শ্রীমঙ্গলে বিকাশ কর্মকর্তার ২ লাখ টাকা আত্বসাতের রহস্য উদঘাটনে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের লিখিত অবহিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা।

এসময় তিনি বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এই ঘটনায় লুট করা ৭টি মোবাইল এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, গত ৩১ মে রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকার বাঘরাবাড়ি এলাকায় ১০/১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় গাছ ফেলে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের মারধর করে লুটপাট করে।
পরবর্তীতে ১ জুন এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম), শ্রীমঙ্গল সার্কেলের এএসপি, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিক রঞ্জন দাসসহ একটি টিম ডাকাতির ঘটনার পর থেকে কাজ শুরু করে। 

ভিকটিমদের দেওয়া তথ্য, আমাদের সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৩ জুন ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কানাইদেশী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির সাথে জড়িত জাহান আহমেদ রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত থেকে ৩১ মে রাতে লুটকৃত একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়। 

পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেদিন সকালে কমলগঞ্জের বনগাঁও এলাকা থেকে জড়িত ডাকাত দলের আরেক সদস্য মহরম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত থেকেও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জুন রাতে ডাকাত বহনকারী এবং দলের অন্যতম সদস্য সিএনজি চালক সালাম মিয়াকে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। 

এছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অভিযান পরিচালনার সময় একটি ব্যাগে পরিত্যক্ত অবস্থায় লুট করা আরও ৫টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে। 

এদিকে, জেলার শ্রীমঙ্গল এলাকায় বিকাশের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় আইয়ুব মার্কেট পরিদর্শন শেষে মোটরসাইকেলযোগে ভোজপুর বাজারের পথে রওনা হন। পথিমধ্যে তিতপুর এলাকায় অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাকে ছুরি দ্বারা আঘাত করে এবং ব্যাগে থাকা আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ঘটনার গভীর তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে বের হয়ে আসে, প্রকৃতপক্ষে ঘটনার পেছনে ছিল পূর্বপরিকল্পিত নাটক। তাকে ও তার সহযোগী সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ঘাতক চাচা মাসুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  বুধবার (৪ জুন) বিকেলে ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানাই ওই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।