তিল ধারণের ঠাঁই নেই ট্রেনে, ছাদেও ভিড় ঘরমুখো মানুষের
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৫, ১৪:১১

ঈদুল আজহার ছুটিকে সামনে রেখে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের ঢল। শুক্রবার (৬ জুন) ঈদযাত্রার শেষ দিনে স্টেশনজুড়ে ছিল তীব্র ভিড় ও উত্তেজনা। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। কেউ উঠেছেন দরজা দিয়ে, কেউবা উঠে পড়েছেন ট্রেনের ছাদে।
টিকিট না পেয়েও যাত্রার আশায় অনেকেই ভিড় করেছেন ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে বা ছাদে চড়ে। নির্ধারিত সময় সকাল ১০টার আগেই একতা এক্সপ্রেস পৌঁছে যায় প্ল্যাটফর্মে, যাত্রীদের মতে এবারের যাত্রায় সময়ানুবর্তিতা কিছুটা ভালো।
কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে, তবে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেসে দেখা যায় বড় ধরনের বিলম্ব। নির্ধারিত ছাড়ার সময় সকাল ৬টা থাকলেও ট্রেনটি ৯টায়ও প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়নি। কারণ, বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর কাছে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ছাড়ার সময় ঠিক করা হয় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। ফলে কমলাপুর স্টেশনে প্রায় এক হাজার যাত্রী অপেক্ষায় থাকেন।
ভোর ৬টার আগেই স্টেশনে উপস্থিত হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার ভোগান্তির কথা জানান যাত্রী আবদুল্লাহ আল আসিফ। তিনি বলেন, “রাত ১১টায় ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে, এখন সকাল ৯টা পার হলেও কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই। আমরা এখানে ১ হাজার যাত্রী দাঁড়িয়ে আছি।”
অন্যদিকে, রংপুর এক্সপ্রেসও নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটিও ১০টার পর প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে। শান্তাহারের যাত্রী শাহীন আলম বলেন, “৮টার দিকে এসেছি, ট্রেন এসেছে দেরিতে, তবে এবার অতটা লেট করছে না আগের মতো।”
চরম ভিড়, ট্রেনের ছাদে ওঠা, সময়সূচি কিছুটা এলোমেলো—সব মিলিয়ে ঈদের আগে যাত্রার শেষ দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে যেন ছিল কেবলই গন্তব্যে পৌঁছানোর যুদ্ধ।