চামড়া পাচার রোধে আরো কঠোর থাকবে বিজিবি-কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডার
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৫, ১৭:৫৮

ঈদুল আজহাকে ঘিরে কুমিল্লা সীমান্তে গরু চোরাচালান ও ঈদ পরবর্তী চামড়া পাচার রোধসহ যেকোনো প্রকারের সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ শুক্রবার (০৬ জুন) সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
কোরবানির সময় পশুর চামড়া যেন দেশের বাইরে পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্ত জুড়ে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে চাহিদা অনুযায়ী দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু রয়েছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশীয় খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য, বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। এ বছর গরু চোরাচালান সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করেছি। ঠিক একইভাবে চামড়া পাচারও রোধ করা হবে।
কুমিল্লা সেক্টরের অধীনে ব্যাটালিয়ান কুমিল্লা কোটবাড়ি-১০ বিজিবি, ফেনী-০৪ বিজিবি, সুলতানপুর-৬০ বিজিবি ও সরাইল-২৫ বিজিবির আওতায় ৩২৭কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে।
বিজিবি ওইসব এলাকায় অতীতের চেয়ে আরও সক্রিয় থাকবে। এই এলাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিজিবি ব্যাটালিয়নকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ঈদের লম্বা ছুটিতে এদশের মানুষ যাতে নিবিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেজন্য সীমান্তে নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি কাজ করছে।
তিনি বলেন, পুশইন এর বিষয়ে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছে। সীমান্তে টহলবৃদ্ধি, গোয়েন্দা তৎপরতা ও স্থানীয়দের নিয়ে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিয়মবহিভূত পুশইন এর বিষয়ে পতাকা বৈঠক করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ সেক্টরের সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন পুশইন হয়েছে। তাদের আইনগত প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজসহ অন্যরা।