আখাউড়ায় ১৬৯ পরিবারকে কোরবানীর গোস্ত উপহার

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০২৫, ১৭:২৪

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রামের অসহায় দুস্থ ১৬৯ পরিবারের মাঝে প্রায় ২১ মন কোরবানীর পশুর গোস্ত উপহার দিয়েছে গ্রামবাসী। গোয়াল গাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও গ্রামের মুরব্বীদের উদ্যোগে এই মহতি কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।

ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কেজি করে গোস্ত দেওয়া হয়েছে। গোস্ত পেয়ে খুশি হয়েছে কোরবানী দিতে না পারা পরিবারগুলো। গ্রামবাসীর এই উদ্যোগকে সাধুবাধ জানিয়েছে এলাকার মানুষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এদিন ঈদের নামাজ আদায় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় পশু কোরবানী দেয় সামর্থ্যবান মুসলমানা। শনিবার সারা দেশের ন্যায় আখাউড়ায় ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। তবে, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রামবাসীর মহতি উদ্যোগে অসহায় সুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। গ্রামবাসীর মধ্যে যারা কোরবানী দিয়েছে তারা তাদের জবাইকৃত পশুর গোস্তের একটি অংশ গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির নিকট জমা দেয়। দুপুরের পর থেকে মসজিদের সামনের চত্বরে জমতে থাকে গোস্ত। প্রায় ২১ মন গোস্ত জমা হয়। 

পরে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে জমাকৃত গোস্ত থেকে ৫ কেজি করে প্যাকেট করা হয়। এসময় কমিটির সভাপতি, সদস্যসহ মুরব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহারের গোস্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। বিগত অনেক বছর ধরেই এভাবে গোস্ত বিরতণ করা হয় ওই গ্রামে। 

এদিকে, পৌরশহরের খড়মপুর আদর্শ যুব সমাজের উদ্যোগে একটি পশু কোরবানী দিয়ে প্রায় ১০০জনকে গোস্ত উপহার দেওয়া হয়েছে। 

জানতে চাইলে নীলাখাদ গ্রামের শেখ নিজাম বলেন, গ্রাম গোয়াল গাঙ্গাইল আমাদের পাশের গ্রাম। প্রতি বছর ওই গ্রামের কোরবানীর গোস্ত সংগ্রহ করে দুস্থদের মাঝে বিরতণ করে। এটা খুবই ভালো কাজ। এতে যারা কোরবানী দিতে পারেনি তারাও মাংস খাওয়ার সুযোগ পায়।  

এ ব্যাপারের জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হারুন মিয়া বলেন, গ্রামের লোকজন কোরবানীর গোস্তের একটি অংশ কমিটির কাছে দিয়ে যায়। জমা হওয়া সেই গোস্ত ১৬৯টি পরিবারকে ৫ কেজি করে গোস্ত উপহার দেওয়া হয়েছে। দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। আশা করি এতে করে ওই পরিবারগুলো ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে সহায়ক হবে।  

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া মুহিউস সুন্নাহ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আসাদ আল হাবিবী বলেন, ইসলামের বিধানমতে কোরবানীর পশু তিনভাবে বন্টন করে একভাগ নিজে রাখা, এক ভাগ আত্মীয়স্বজন এবং একভাগ দুস্থ অসহায়দেরকে দেওয়ার কথা বলে আছে। গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রামসহ আরও যারা অসহায় দুস্থদের মাঝে গোস্ত বিতরণ করেছে এটা ভালো কাজ। এরকম বেশি বেশি করা উচিত।