জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী

ঈদগাঁওয়ে ইনসাফ ভিত্তিক সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের দাবী

প্রকাশ | ১১ জুন ২০২৫, ১২:১১

ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও জেলা বারের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী। ছবি: যায়যায়দিন

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীর দাঁড়ি পাল্লা মার্কার সমর্থনে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

গত ১০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও জেলা বারের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী।

প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার- তিন (কক্সবাজার, রামু, ঈদগাঁও) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শহিদুল আলম বাহাদুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম।

 ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আজিমের সঞ্চালনায় এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন।

পুনর্মিলনীতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন মহামান্য আদালতের রায়ে আমরা আমাদের দলের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পেয়েছি। পাশাপাশি আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। জীবন বাজি রাখা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদেরকে এ সুযোগ এনে দিয়েছে

তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছেন।

ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করার ব্যাপারে এখন থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সময়ে জামায়াতের দুইজন কেন্দ্রীয় নেতা সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। হাসিনা সরকার শত চেষ্টা করেও তাদের দুর্নীতির কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার কোন রেকর্ড ও তথ্য প্রমাণ হাজির করতে সক্ষম হয়নি। ইনসাফ ভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত, সাম্য ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই জামায়াতের লক্ষ্য বলে জানান অনুষ্ঠানের বক্তারা। 

তাদের মতে, গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশবাসী ও জনগণের মেন্ডেট নিয়ে জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে গণমানুষের অধিকার বাস্তবায়নে এ দলের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। 

পুনর্মিলনীতে আরো বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের নায়েব আমির মাওলানা ছৈয়দ নুর হেলালী, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাস্টার ছৈয়দুল আলম হেলালী, ঈদগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লাইক ইবনে ফাজেল, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি তৈয়ব উদ্দিন ও চট্টগ্রামের প্রাইভেট মেডিকেল শাখা জামায়াতের দায়িত্বশীল হাফেজ মহি উদ্দিন। 

এসময় উপস্থিত জামায়াত নেতাদের মধ্যে ছিলেন মাস্টার নুরুল হক, মাওলানা হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মহসিন, ডাক্তার সুলাইমান মোর্শেদ, অধ্যাপক হাকীম আলী, সাবেক মেম্বার মোঃ আলম, দিদারুল ইসলাম, মাওলানা মোঃ ছৈয়দুল হক, মাওলানা সরওয়ার কামাল ও আব্দুর রশিদ প্রমুখ।