ডাসারে প্রেমিক যুগলকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, আটক ১

আটকৃত দিপ তালুকদার (২০)

মাদারীপুরের ডাসারে প্রেমিক-প্রেমিকাকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে দিপ তালুকদার (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশীকর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে চাঁদা দাবির ঘটনায় ১৩ জুন (শুক্রবার) সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। তবে চার-পাঁচজন বখাটে যুবক মিলে চাঁদা দাবি করলেও শুধুমাত্র একজনের নামে মামলা দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শশীকর বাজারের পাশের একটি সড়কে ঘুরতে যান স্থানীয় এক কপোত-কপোতী। এসময় তাদের জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে একদল বখাটে যুবক। পরে চাঁদার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান স্থানীয় শিক্ষক সুমন সরকার ও অমল বিশ্বাস। পরে রাতে দাবিকৃত চাঁদার টাকা নিতে শশীকর বাজারের ব্যবসায়ী সুজন সরকারের দোকানে আসে ওই যুবকরা। এসময় স্থানীয়দের সঙ্গে চাঁদাবাজদের হাতাহাতির এক পর্যায়ে চারজন পালিয়ে গেলেও দিপ তালুকদারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অমল বিশ্বাস বাদী হয়ে দিপ তালুকদারের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, চার-পাঁচজন মিলে চাঁদা দাবি করলেও কেবল একজনের নামে মামলা দেওয়ায় ন্যায়েরর প্রশ্ন উঠেছে।

গ্রেফতারকৃত দিপ তালুকদার বলেন, “আমিসহ নয়ন বিশ্বাস, আপন সরকার, অনিক বিশ্বাস ও পল্লব তালুকদার মিলে সুজন সরকারের দোকানে গেলে তারা আমাকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।”

মামলার বাদী অমল বিশ্বাস বলেন, “আমার ভাইয়ের ছেলে আকাশ বিশ্বাস একটি মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গেলে ৪/৫ জন বখাটে যুবক মিলে তাদের জিম্মি করে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তাই আমি দিপ তালুকদারের নামে মামলা দিয়েছি। তবে আমি সবারই বিচার চাই।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি বলেন, “চার-পাঁচজন মিলে চাঁদা দাবি করলেও কেবল একজনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”

এ বিষয়ে ডাসার থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বলেন, “কপোত-কপোতীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”