চুয়াডাঙ্গায় সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৫, ১৯:৪৭

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়: ছবি যায়যায়দিন

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের চার বারের সাবেক এমপি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

আজ শনিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে তার দাফনকাজ সম্পন্ন হয়। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছেলুন জোয়াদ্দারের ভাতিজা নঈম  হাসান জোর্য়াদ্দার জানান, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। ইতিপূর্বে তিনি ভারত ও ব্যাংককে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। 
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ঈদের পর দিন ০৮ ই জুন তাকে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

তার নামাজে জানাজায় ভাইয়ের ছেলে জেলা যুবলীগের আহবায়ক সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক, সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান লাভলু, 
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধার সম্পাদক আব্দুল কাদের, যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফি, 
আব্দুর রসিদ, রেজাউল করিম, সিরাজুল ইসলাম আসমান, রাসেদুজ্জামান বাকি, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

নামাজে জানাজা শুরুর আগে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। অনেকেই তাকে ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানান। 

আজ সকালে মরহুমের মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় এসে পৌঁছে। সকাল সাড়ে ১১টায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি চত্বরে নামাজে জানাজার পর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে। সেখানে বেলা সাড়ে ১২টায় তার দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। 
তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। পরের আরো তিনটি নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা সন্তান, ভাই বোন ও অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে গেছেন।