খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা এস এম সাজিদ হাসান (২২)। রবিবার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে নগরীর ময়লাপোতা মোড় সংলগ্ন খুলনা আহসান উল্লাহ কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

একই সময় ওই ঘটনার একটু দূরেই ময়লাপোতা সোনাপোতা স্কুলের বিপরীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন নয়ন শেখ (২২) নামের আরও এক যুবক। এ ছাড়া নগরীর দৌলতপুরের রেলিগেট এলাকায় এক যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।


আহত তিন জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এস এম সাজিদ হাসান নগরীর বাগমারা চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ের বাসিন্দা এস এম জাহিদ আলীর ছেলে। নয়ন লবণচরা থানাধীন হরিণটানা কাঁচাবাজার সংলগ্ন মকবুল শেখ মিঠুনের ছেলে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, সাজিদ হাসান রিকশায় করে শিববাড়ি মোড় থেকে বাগমারার বাসার দিকে যাচ্ছিলেন।


এ সময় ২ মোটরসাইকেল আরোহী তাকে অনুসরণ করতে থাকে। তার রিকশাটি ময়লাপোতার কাছাকাছি পৌঁছালে রূপসা অটোমোবাইলের সামনে সাজিদ বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। পরে  রিকশা থেকে নেমে আত্মরক্ষার জন্য তিনি দৌড় দেন। এ সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে একটি গুলি সাজিদের কোমরের বামপাশে এবং অপরটি ডান পায়ের হাটুর উপরে বিদ্ধ হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অপরদিকে খুলনা সদর থানাধীন ময়লাপোতা এলাকার সোনাপোতা স্কুলের সামনে নয়ন শেখকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা।

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তবে তাকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা।
একই রাতে প্রায় একই সময়ে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট চার রাস্তার মোড়ে আলামিন (৩২) নামের এক যুবককে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আলামিন তাদেরকে হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে ডান হাতের একাধিক আঙুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তাকে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।