মধুখালীতে লবণ সংকটে বিপাকে চামড়া ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১৫:৪৯

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রিতে প্রতিবছর হানা দেয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এবারও সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার ন্যায্য দাম পায়নি ব্যবসায়ীরা। 

সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে চামড়া বিক্রি  হওয়ায় হতাশ ক্ষুদ্ধ  চামড়া সংগ্রহকারীরা। 

এ বছর ঈদের দিন আড়তে ভালো দামের আশায় যারা কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করছিলেন তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। ফরিদপুরের মধুখালীতে লবন সংকটে বিপাকে চামড়া ব্যবসায়ীরা। 

মধুখালীতে এ বছর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুরবানী পশুর চামড়া স্থানীয়ভাবে একজন ব্যবসায়ী ও মৌসুমী ব্যবসায়ী ৩-৪ জন মিলে উপজলার পশুর চামড়া সংগ্রহ করছেন বলে জানান চামড়া ব্যবসায়ী রমজান আলী মিয়া। 
স্থায়ী চামড়া ব্যবসায়ী রমজান আলী মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, এ বছর লবনের সংকট রয়েছে যার কারনে ঈদের দিনই ৪৫০টি গরু ও ছাগলর ২ হাজার একশ’টি চামড়া পৌরসভার মাধ্যমে টাকা দিয়ে ফেলতে হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
 লবন দিয়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাত করে চামড়া সংরক্ষণ করি। লবনের সংকট থাকায় আমরা সেটা করতে পারি নাই যার কারনে ফেলে দিতে হয়েছে। খোলা বাজারে যে লবন পাওয়া গেছে সেটাও বাড়তি দাম। 
একবস্তা লবন ২৫০ টাকা বেশি দিয়ে নিতে হয়েছে। এ বছর গরু প্রতি ২শ’ থেকে ৮শ’ টাকা এবং একটি খাসির চামড়া ২০টাকা থেকে ৫০টাকায় ক্রয় করছি। ঘর প্রায় ৫৫০টি গরু ও ৮৫০টি ছাগলের চামড়া মজুদ আছে। 
লবনের ব্যবস্থা করতে  না পারলে শেষ পর্যায়ে কি করতে হয় সটা বলতে পারছিনা। 

স্থানীয় মৌসুমী  চামড়া ব্যবসায়ী হিরু শেখ গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেন লাভর আশায়। কিন্তু সে আশা তার পুরণ হয়নি। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘নিজ গ্রাম ও আশেপাশে থেকে কিছু চামড়া সংগ্রহ করে আড়তে দিয়েছিলাম তমন লাভ না হলেও লোকসান হয়নি। আসল ঘরে এসেছে।’