মাদারীপুরে কৃষি আবহাওয়ার যন্ত্র স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১৮:২৪

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর
মাদারীপুরে কৃষি আবহাওয়ার যন্ত্র স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক: ছবি যায়যায়দিন

মাদারীপুরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা রেইন গজ মিটার স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 
অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জেলার ৬০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টি ইউনিয়নে বসানো হয় আগাম আবহাওয়ার পূর্বাভাসের যন্ত্র রেইন গজ মিটার। 
তাপমাত্রা, আদ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, ঝড়ের পূর্বাভাস, আলোকঘণ্টাসহ ১০টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও তা কৃষকদের মাঝে প্রকাশের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে বসানো রেইন গজ মিটার দেখাশোনা ও সাথে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রত্যেক উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে দেয়া হয় একটি করে ট্যাব, প্রিন্টার, সীম কার্ড ও মডেম। 
যার অধিকাংশেরই নেই কোন হদিস। রেইন গজ মিটার অকেজো ও যন্ত্রাংশের হদিস না থাকার অভিযোগে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে অভিযানে যায় দুদকের ৫ সদস্যের একটি দল। 
এ সময় কৃষি সম্প্রসারনের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চান দুদক কর্মকর্তারা। তাৎক্ষনিক কাগজপত্র দেখাতে পারিনি কৃষি অফিস।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, কৃষকের উন্নয়নের কথা চিন্ত করে মাননীয় কমিশনের নির্দেশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে এসেছি রেইন গেজ মিটার এর তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। 
জেলার ৬০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টি ইউনিয়নে বসানো হয় আগাম আবহাওয়ার পূর্বাভাসের যন্ত্র রেইন গজ মিটার। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে মিটারগুলো বসানো হয়েছে। 
অধিকাংশ মিটারগুলো এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। মিটার কেন অকেজো তা সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিশনে বিস্তারিত তথ্য পাঠাব।