নেছারাবাদে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ

নেছারাবাদে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প”এর আওতায় বকনা বাছুর বিতরণ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলা । ছবি: যায়যায়দিন

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের “দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প”-এর আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গরু (বকনা বাছুর) বিতরণ করা হয়েছে।

 ১৮ জুন মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে লটারির মাধ্যমে গরু বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ৫১ জন নিবন্ধিত জেলের হাতে ৫১টি বকনা বাছুর তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করেছে নেছারাবাদ উপজেলা মৎস্য দপ্তর। এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারিয়া কনক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং সুবিধাভোগী জেলেরা। বক্তারা বলেন, সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “জেলেরা নদীতে মাছ ধরার মৌসুমে কর্মে থাকলেও অন্যান্য সময় তারা কর্মহীন হয়ে পড়েন। তাই তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য এই প্রকল্প চালু হয়েছে। গরু পালনের মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, অন্যদিকে তাদের জীবনমানও উন্নত হবে।”

সুবিধাভোগী জেলেরা আনন্দ প্রকাশ করে জানান, এই গরুগুলো তারা লালন-পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে উপার্জনের একটি স্থায়ী উৎস গড়ে তুলতে পারবেন।

সরকারের এ ধরনের মানবিক ও টেকসই প্রকল্প জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে যে বাস্তবিক অবদান রাখছে, তা আজকের এই বকনা বাছুর বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হলো।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এই প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে আরও অনেক জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হবে।