ঈদগাঁওয়ে প্রবাসী স্ত্রী প্রেমিকের হাত ধরে লাপাত্তা 

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২৫, ১৩:৩৩

ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
 কক্সবাজার ঈদগাঁওয়ে সৌদি প্রবাসী স্বামী শিমুল সোহেল রানার সবকিছু নিয়ে প্রেমিক জুনায়েদের হাত ধরে সন্তানসহ পালিয়েছে স্ত্রী -যায়যায়দিন

 কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দেরঘোনা গ্রামের  সৌদি প্রবাসী স্বামী শিমুল সোহেল রানার সবকিছু নিয়ে প্রেমিক জুনায়েদের হাত ধরে সন্তানসহ পালিয়েছে স্ত্রী। 

একমাত্র বাচ্চাসহ গত ১১ জুন বুধবার প্রবাসী স্বামীর সর্বস্ব গুছিয়ে প্রেমিককে নিয়ে সন্ধ্যার সময় পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেমু আকতারের  বিরুদ্ধে। 

ঐদিন সবার অগোচরে পালানোর সময় স্বামীর পাঠানো নগদ লক্ষাধিক টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ দামী আরো নানা পণ্যসামগ্রী এবং ৪ বছর বয়সী সন্তানকেও সাথে নিয়ে গেছে।

পরদিন ভোর হতে প্রায় ৪/৫ দিন ধরে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর সেই গৃহবধূকে না পেয়ে ঈদগাঁও  থানায় (১৯ জুন) একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

 নিরুদ্দেশ হওয়া গৃহবধূ জেমু আক্তার উপজেলার ঈদগাঁও  ইউনিয়নের  চান্দেরঘোনা গ্রামের  সৌদি প্রবাসী শিমুল সোহেল রানার স্ত্রী।  দাম্পত্য জীবনে তাদের হোজাইফ  নামে চার বছর বয়সী একটি পুত্র  সন্তান রয়েছে।

প্রবাসী শিমুল সোহেল রানার পিতা নুরুল হক  জিডিতে উল্লেখ করেন, বিগত সাড়ে ৫ পুর্বে পরিবারের অজান্তে  সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী  ইউনিয়নের খামার পাড়ার প্রবাসী মোবারক হোসেনের কন্যা জেমু আক্তারের সাথে  বিয়ে হয় শিমুলের।

গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বাড়ির সবার অজ্ঞাতসারে শিশু সন্তানসহ নিরুদ্দেশ হয়। রুমে ঢুকে আলমিরা খোলা দেখে তল্লাশি করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য পণ্য সামগ্রীও পাওয়া যায়নি। 

এরপরই খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি তাদের প্রতিবেশী জনৈক শহিদুল ইসলামের পুত্র জুনায়েদ প্রকাশ কালু'র সাথে পরকীয়ার জের ধরে দুজন পালিয়ে গেছে। 

ঘটনার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে প্রবাসী স্বামী, আমিসহ (জিডিকারি) পরিবারের অন্য সদস্যদের জড়িয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করবে বলে মোবাইলে হুমকি দেয় জেমু।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করে প্রবাসী শিমুল সোহেল রানা বলেন, ছেলে জন্ম নেয়ার পর থেকেই আমার স্ত্রী জেমুর পরকীয়ার বিষয়টি শুনছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলে অস্বীকার করতো আর আমি দেশে আসতে চাইলেই বেঁকে বসতো। ব

লতো ঘর আলাদা করলেই আমি দেশে আসতে পারবো। প্রয়োজনে তাকে সৌদি আরব নিয়ে যেতে বলতো। এসবের পর  আমার পাঠানো লাখ টাকা, ৪ভরি স্বর্ণ, মোবাইল, দামি পণ্য সামগ্রী গুছিয়ে পরিচিত সিএনজি ডেকে সন্ধ্যার আঁধারে নিরুদ্দেশ হয়েছে সে।

ঈদগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার আছাদুর রহমান জানান, এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি পাওয়ার পর থানার একজন এসআইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।