অবশেষে ৪০ বছর পর অপসারণ হচ্ছে চারঘাটের বড়াল নদীর স্লুইসগেট
প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২৫, ১৭:৫৫

বড়ালের পানি প্রবাহ বৃদ্ধিও লক্ষ্যে অবশেষে ৪০ বছরপরে রাজশাহীর চারঘাটে বড়াল নদীর উপরনির্মিত স্লুইসগেট অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং এলাকার পরিবেশগত উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই স্লুইসগেট অপসারণের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হবেএবং মরা বড়াল নদী পুনরায় প্রাণফিওে পাবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভয়াল থাবা থেকে বড়ালের আশেপাশের মানুষকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে ১৯৮৪ সালে চারঘাটের বড়ালের ওপর নির্মাণ করা হয় স্লুইসগেট।
প্রথম প্রথম এটি মানুষের কল্যাণে কাজে আসলেও দীর্ঘদিন ধরে বড়ালের দুইপাশ দখল, দুষণ আর অপরিকল্পিত খননের ফলে বড়াল মরা খালে পরিনত নয়। বড়ালের উৎসমুখে পলি মাটি জমে পানি প্রবাহ বাধা সৃষ্টি করতে থাকে।
বিভিন্ন সময় খনন কাজ করা হলেও পানি প্রবাহ বৃদ্ধি না পেয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে চলে যায়। ফলে বড়ালের ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি অপসারণ করে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন পরিবেশবিদসহ স্থানীয়রা।
তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৯ মে চারঘাটের বড়াল নদী পরিদর্শনে গিয়ে সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বড়াল নদের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রমত্তা বড়াল নদের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এক সময়ের প্রমত্তা বড়াল নদের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য এরইমধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ভরাট হয়ে যাওয়া বড়াল নদের ১৮ কিলোমিটার অংশে তাই পুনঃখনন করা হবে। আর বড়ালের মুখের স্লুইচগেট অপসারণ করা হবে।
উপদেষ্টারএমন ঘোষনারপরে গত ১২ জুন থেকে চারঘাটে বড়ালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেট অপসারণের লক্ষ্যে স্লুইস গেটের কপাট খোলার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রতিটি কপাটের প্রস্থ ১০ ফুট করে, মোট ৩০ ফুট। ইতিমধ্যে তিনটি গেট সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বড়ালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করছেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে বড়ালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধিও লক্ষ্যে বড়ালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেটের কপাট উত্তোলন করা হয়েছে। এতে আশা করা যায় মরাখালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।