লোহাগড়া-মাগুরা সড়ক

ধসে যাওয়া স্থান সাড়ে ৪ ঘন্টায় মেরামত, যান চলাচল শুরু

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৫, ১৪:৪১

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

অতি বৃষ্টিতে নড়াইলের লোহাগড়া-নহাটা-মাগুরা আঞ্চলিক সড়কের নলদীর জালালসি এলাকায় ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামত করা হয়েছে। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপে শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের কারণে গত শুক্রবার ভোরে লোহাগড়া-নহাটা-মাগুরা আঞ্চলিক সড়কের নলদী ইউনিয়নের জালালসী ইবতেদায়ী মাদরাসার পাশের অংশে সড়কটি ধসে গিয়ে আড়াআড়ি ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধসে যাওয়া ওই স্থানে প্রায় তিন ফুট গর্ত হয়ে যায়। এরপর জন গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

শুক্রবার সকাল থেকেই ধসে যাওয়া সড়কের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে টনক নড়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের। 
নড়াইল সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের চেষ্টায় ধসে যাওয়া সড়কটি মাত্র সাড়ে ৪ ঘন্টা ধরে  মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়।

জালালসী গ্রামের শাহীন জানান, নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেষা এই সড়কটির উত্তর পাশের বাসিন্দাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য ধসে যাওয়া স্থানে একটি পাইপ বসানো ছিল। 
অতিবর্ষণে পাইপের পাশের মাটি বৃষ্টিতে ক্ষয়ে ভেতরে ফাঁকা হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সড়কটিতে ধস নামে। তবে দেরীতে হলেও সড়ক বিভাগ ধসে যাওয়া অংশটি মেরামত করায় যানবাহন এবং জনচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।  

জালালসী গ্রামের প্রিন্স জানান, সড়কটি শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ধসে গিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছড়িয়ে পড়লে জেলা সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টা কাজ করে ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামত করায় যানবাহন চলাচল যেমন শুরু হয়েছে, তেমনি জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 

নলদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মুক্তি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ' মাত্র সাড়ে ৪ ঘন্টায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন সড়কের ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে যানবাহন ও জনচলাচল স্বাভাবিক করায় তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ নড়াইলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কটি দ্রুত মেরামত করে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে যানবাহন চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে  শুক্রবার ‘লোহাগড়ায়  ভারী বর্ষণে আঞ্চলিক সড়কে ধস’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।