যায়যায়দিনে সংবাদ প্রকাশ
চিলিং ট্যাংক ফেরত পেলেন সারিয়াকান্দির শান্তনা
প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৫, ১৫:১১ | আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ১৫:১৯

বগুড়ার সারিয়াকান্দি প্রাণী সম্পদ ও ভেটোনারী হাসপাতালের আওতায় পরিচালিত (এলডিডিপি) প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসারের হস্তক্ষেপে প্রকল্পের সকল মালামাল ফেরত আনা হয়েছে।
এরপর তা খামারিকে বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটোনারী হাসপাতালের প্রাণী সম্পদ অফিসার। সেদিন থেকে পুরো উদ্যমে মিল্ক কালেকশন সেন্টারটি চালু হয়।
প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিল্ক কালেকশন সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে দুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে ন্যায্যমূল্যে দুধ বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জোড়গাছায় আদর্শ মিল্ক কালেকশন সেন্টারটি শান্তনা আকতার নামের একজন মহিলা উদ্যক্তার নামে বরাদ্দ করা হয়েছে (এলডিডিপি) প্রকল্পের আওতায়।
কিন্তু সেই মিল্ক চিলিং সেন্টারে ২ হাজার লিটারের একটি চিলিং ট্যাংক, ৮টি দুধের ক্যান প্রতিটি ৪০লি., একটি এক হর্স মটর এবং একটি সাবমারছিবল পানির পাম্প নিয়ে যান সারিয়াকান্দি অফিসের কর্মকর্তা তমাল মাহমুদ। এসব নিয়ে যাওয়ার সময় বলে যান এসব প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। তারপর আর ফেরত দিচ্ছিলেন না।
এসব ঘটনা জানার পর খামারির সাহায্যে এগিয়ে আসেন বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটোনারী হাসপাতালের প্রাণী সম্পদ অফিসের অফিসার (ডিএলও) ড. আনিসুর রহমান।
তিনি গত বুধবার (১৮ জুন) সারিয়াকান্দি প্রাণী সম্পদ ভেটনারী হাসপাতালে সশরীলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেন ও তাৎক্ষণিক খামারি মিল্ক কালেশন সেন্টারটি ভিজিট করেন এবং সত্যতা খুজে পান। এরপর সারিয়াকান্দি প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে এসে খামারিকে সকল মালমাল ফেরত দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন।
বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ডিএলও) ড.আনিসুর রহমানের পক্ষে সারিয়াকান্দি প্রাণী সম্পদ অফিসার (ইউএলও) ডা. মীর কাওসার আদর্শ মিল্ক সেন্টারের সকল মালামাল উদ্ধার করে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে খামারিকে বুঝিয়ে দেন তার খামারের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করে।
এবিষয়ে আদর্শ মিল্ক কালেকশন ও ডেইরি সেন্টারের উদ্যোক্তা শান্তনা আকতারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত (৪এপ্রিল) ডা.মো.তমাল মাহমুদ অন্য জায়গায় প্রদর্শনীর কথা বলে আমার কাছ থেকে এসব মালমাল নিয়ে যান।
প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও তিনি এসব ফেরত দিচ্ছিলেন না।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণী সম্পদের জিনিস গাবতলী উপজেলায় নিয়ে গিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এসব বিষয় আমি দরখাস্ত ও মৌখিকভাবে সারিয়াকান্দি উপজেলার (ইউএলও) ডা. মীর কাউসারকে জানাই।
এরপর পএিকায় সংবাদ হয় বিষয়টি নিয়ে তারপরেই বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটোনারী হাসপাতালের (ডিএলও) ড. মো.আনিসুর রহমান আমার মিল্ক কালেকশন সেন্টার দেখতে আসেন এবং সেদিনই এই বিষয়ে ব্যবস্হা গ্রহণ করেন। আমি আমার সকল মালমাল ফেরত পেয়েছি ও এখন মিল্ক কালেকশন সেন্টারটি সম্পুর্নভাবে চালু রয়েছে।
বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার মহিলা উদ্যোক্তা শান্তনা আকতারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে (৩ জুন) 'সারিয়াকান্দি পশু হাসপাতালে এলডিপি প্রকল্পে হরিলুট ' এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন নজরে আসার পর শান্তনরে পাশে এগিয়ে আসেন বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস।