গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিলেন ব্যবসায়ী!
প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৫, ১৬:৩৬

গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি থেকে সরে এসে এনসিপিতে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন নওগাঁর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মো. গোলাম রাব্বানী।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে নওগাঁ শহরের একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি ২০২১ সাল থেকে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
এটাই আমার প্রথম রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। কিন্তু দলটির অভ্যন্তরীণ অগণতান্ত্রিক আচরণ, চাপ প্রয়োগ এবং নেতিবাচক রাজনীতির কারণে আমি গণঅধিকার পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছি।
তিনি দাবি করেন, যেহেতু আমি একজন ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সময় আমাকে চাপে ফেলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং অনুদান দিতে বাধ্য করা হতো। তবে আমি কখনোই আওয়ামী লীগের সদস্য বা দায়িত্বশীল পদে ছিলাম না।
রাব্বানী বলেন, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার তারিকুল ইসলাম দীপুর মাধ্যমে পরিচিত হই জেলা সংগঠক দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগ ভাইয়ের সঙ্গে। তার নেতৃত্ব এবং তরুণদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক ভাবনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমি, সুজন মণ্ডল ও জিয়াউর রহমান মিলে এনসিপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আমরা একসঙ্গে এনসিপিতে যোগদানের ঘোষণা দেই। এর পরপরই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্র থেকে আমাকে ফোন করে দলে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং ব্যাকডেটেড একটি কমিটিতে আমাকে জেলা আহ্বায়ক করা হয়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে সেই পদ ফিরিয়ে দিতে চাইলে বলা হয় কিছুদিন পরে পদত্যাগ করতে।
রাব্বানী অভিযোগ করেন, ১১ জুন আমি গণঅধিকারে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেই। এরপরও দলটি তা গ্রহণ না করে ১৮ জুন এক সপ্তাহ পরে ভুয়া বহিষ্কারাদেশ জারি করে, যেখানে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই বহিষ্কারপত্র নিছক অপপ্রচার। আমাকে বিতর্কিত করে গণঅধিকারের অনেক সদস্য যাতে এনসিপিতে যোগ না দেই সেজন্য এটি করা হয়েছে। এর আগেও ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারিতে আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ধরনের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এনসিপির প্রতি তার আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমাকে সুযোগ দেওয়া হলে আমি এনসিপির নেতৃত্বে থেকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করে যেতে চাই।