বরিশালে বৈছাআ নেতার নামে ডাকাতি মামলা!

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৫, ১৬:৪৯

বরিশাল অফিস
ছবি: যায়যায়দিন

বরিশালে আলোচিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। 

ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় গত ৬ জুন পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় উপ পুলিশ পরিদর্শক নূরুজ্জামান বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। তবে ঘটনাটি স¤প্রতি প্রকাশ্যে আসে। 

এর আগে মারজুক আব্দুল্লাহ গণঅভ্যুত্থানের নয় মাস পরে বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ২৪৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দিয়ে আলোচনায় আসেন। যে মামলায় বিএনপি নেতা ও সাংবাদিকদের আসামি করা হয়।


মামলায় বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ক্লাবরোডের বাসিন্দা মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির পদ স্থগিত হওয়া যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য আসামিরা হলেন নগরীর বন্দর থানাধীন চরআইচা এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে সিপন হাওলাদার ও সদর এলাকার আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুমকি থানাধীন লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডিউটি চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫/৬ জনের একটি দল ডাকাতি করার জন্য বরিশাল থেকে পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছে। 

ডাকাতদের ধরতে টোলপ্লাজায় পুলিশ অবস্থান নেয় এবং তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে থাকে। পরে দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চালিয়ে চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহী তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। 

এ সময় সিপন ও মামুন নামে দুইজনকে ধরে ফেলে পুলিশ এবং মারযুক আব্দুল্লাহ নামে একজন পালিয়ে যান। এ অবস্থা দেখে পেছনের অন্য মোটরসাইকেলটি ঘুরিয়ে পথ পরিবর্তন করে দ্রæত পালিয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। 

আর মোটরসাইকেলটি মারযুক আব্দুল্লাহ চালাচ্ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ মোটরসাইকেল থামাতে সিগন্যাল দিলে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। মারজুক আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেল রেখে পুলিশের সিগন্যাল পাওয়া মাত্রই পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা অর্থ হাতিয়ে নেয় বলেও স্বীকারোক্তিতে জানায়।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, আটকের সময় সিপন ও মামুনের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকি-টকি, একটি ইলেকট্রিক শক ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। 

আটককৃতদের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক মারজুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানের নয় মাস পরে গত ১৪ মে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় মারজুক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ২৪৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দিয়ে আলোচনায় আসেন। 

যেখানে বিএনপি নেতা ও সাংবাদিকদের আসামি করার পাশাপাশি অচেনা ব্যক্তিদের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠে মারযুকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গত ২০ মে তার পদ স্থগিত করা হয় বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ।