বাঁশখালীর সংরক্ষিত বনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে গৃহবধূর বিষপান
প্রকাশ | ২২ জুন ২০২৫, ১১:১১ | আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ১১:২৯

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের আওতাধীন জলদীর সংরক্ষিত বনে অবৈধভাবে নির্মিত ঘর উচ্ছেদকালে বাধা প্রদান করে প্রকাশ্যে বিষপান করেছেন নাছিমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ।
শনিবার (২১ জুন) জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের আওতাধীন দক্ষিণ জলদির সংরক্ষিত বনাঞ্চল তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাছিমা আক্তার দক্ষিণ জলদি গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই গৃহবধূ নাছিমা আক্তারকে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে গৃহবধূ নাছিমা আক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, ‘দক্ষিণ জলদির সংরক্ষিত বনাঞ্চল জলদি বন বিটের পাশে তালতলা এলাকায় নাছিমা আক্তার ও তার স্বামী জামাল উদ্দিন একটি ঘর তুলেছেন। বন বিভাগ ওই ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল গালিগালাজ করে তারা।
বন বিভাগ দুই দিন উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে ব্যর্থ হয়। শনিবার ওই ঘর উচ্ছেদে গেলে ঘরের সামনে ২০-২৫ জন নারী জমায়েত হয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
পরে ওই মুহূর্তে এক নারী বিষপান করেছেন বলে প্রচার করা হয়। ঘরটি উচ্ছেদ না করার জন্য বিষপান করে বন কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।'
ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তারের ভাই মোকতার হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় বন বিভাগ উচ্ছেদ করতে এসে সবার সামনে বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিটুনি খেয়ে অপমানে আমার বোন বিষপান করেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক'। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।'
বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডা. সাবরিনা জাহান বলেন, ‘নাছিমা আক্তারকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের কর্মকর্তা আনিচ্ছুজামান শেখ বলেন, ‘জলদি বন বিটের পাশে সংরক্ষিত বনে অবৈধভাবে একটি ঘর তুলেছেন নাছিমা আক্তার ও তার স্বামী জামাল উদ্দিন।
অবৈধভাবে করা ওই ঘর উচ্ছেদের জন্য দুই দিন ওখানে গিয়ে ব্যর্থ হই আমরা। সর্বশেষ শনিবার উচ্ছেদ করতে গেলে ঘরের সামনে ২০-২৫ জন নারী জমায়েত হয়ে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
পরে ওই নারী বিষপান করে ঘরটি উচ্ছেদ না করার জন্য বন বিভাগকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।