রাজশাহী নির্বাচন অফিসে নাগরিক সেবায় ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৫, ১৫:৪৭

রাজশাহী অফিস
রাজশাহী নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান। ছবি: যায়যায়দিন

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি, ভোটার তালিকায় নাম স্থানান্তরসহ নানা সেবা নিতে গিয়ে রাজশাহী নির্বাচন অফিসে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে- এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে নির্বাচন অফিসে কর্মরত আউটসোর্সিং কর্মীদের মাধ্যমে নগদ অর্থ লেনদেনের প্রমাণ মেলে।

দুদকের রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমীর হোসেন বলেন, “আমরা সরেজমিনে গিয়ে নগদ টাকা নেওয়ার দুটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করছে, তারা নতুন এনআইডি, ভোটার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ২৩০ টাকা করে নিচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে কমিশনে লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবো।”

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান। 

তিনি বলেন, “আমাদের অফিসে কেউ হয়রানির শিকার হন না, আমরা কারও কাছ থেকে টাকা নেই না। তবে পাসপোর্টের জন্য এনআইডি যাচাইয়ের কাজ অহেতুক আমাদের কাছে পাঠানো হয়। তখন বাইরে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা কিছু লোক দু’একশ টাকা নেয়। পাসপোর্ট অফিস চাইলে নিজেরাই এনআইডি যাচাই করতে পারে, সেটা না করে কেন আমাদের কাছে পাঠায়, বুঝতে পারি না।”

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, “দুদক যখন অফিসে আসে, আমি তখন একটি মিটিংয়ে ছিলাম। তাই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।”

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে গিয়ে শুধু সময় নষ্ট নয়, অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ সময়মতো হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই আউটসোর্সিং কর্মীদের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে বাধ্য হন তারা।

দুদকের এই অভিযান নির্বাচন অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়মের একটি বড় প্রমাণ হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের হয়রানির শিকার না হন।