পবিপ্রবিতে উপাচার্যের সঙ্গে জিয়া পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৫, ১৬:৪৩

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পবিপ্রবিতে উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জিয়া পরিষদের নেতাকর্মীরা: ছবি যায়যায়দিন

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘জিয়া পরিষদের (কর্মকর্তা ইউনিট) নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। 
আজ সোমবার (২৩ জুন) উপাচার্যের সঙ্গে নবগঠিত কমিটির সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ নবগঠিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকল সদস্যের পরিচয় উপস্থাপন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আবুবকর সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন মো. শাহজালাল (ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যালয়), মুহাম্মদ জাহিদ আল মামুন (উপ-পরিচালক, আরটিসি) এবং মো. আবুল হোসেন (উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, এনএসভিএম অনুষদ)।

সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন হাচিব মোহাম্মদ তুষার, যিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিষয়ক বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ড. রাহাত মাহমুদ (উপ-খামার তত্ত্বাবধায়ক, সি: স্কেল) এবং মো. আবদুল জলিল (সহকারী রেজিস্ট্রার, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগ)।

অন্যান্য সম্পাদকদের মধ্যে আছেন: সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শাহাদৎ হোসেন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন মিঠু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মাহমুদ আল জামান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সুইন আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মো. ইলিয়াস উদ্দিন হাওলাদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এস.এম. মেহেদী হাসান এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসা. ডলি বেগম।

নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন: ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান (জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ), 
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাসার মিয়া (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগ), প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো. আরিফুর রহমান, চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো.ফারুক হোসেন এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মো. এম. রিয়াজ কাঞ্চন।

সদস্যদের তালিকায় আছেন: মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, মোহাম্মদ তৌহিদ আল রশিদ সরকার, সালমা আক্তার, ড. মো.মিরাজুল ইসলাম, ডা. সুলতানা রাবেয়া, মো. জিয়াউদ্দিন, 
শরীফ মেহেদী হাসান, মো. মুনিরুজ্জামান, মুহা. মাসুম বিল্লাহ, মো. আতাউর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মো. আবদুল্লাহ আল ঈমাম, মোসা. নাসিমা বেগম, মোসাঃ মারুফা খাতুন, কাজী কাইয়ুম এবং মোসা. নাসরিন আক্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, ‘শহীদ জিয়ার আদর্শের মতো সততা ও ন্যায়পরায়ণতার মাধ্যমে আপনারা সকলে কাজ করে যাবেন—এমনটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। পাশাপাশি সব কিছুতে সবাই নিজেদের বিবেকের চিন্তা-চেতনাকে কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন আশা করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়া পরিষদের এই সংগঠনটি একটি পরিশুদ্ধ সংগঠন হোক—এমনটাই আমাদের কাম্য। 
কোনো ধরনের অনুপ্রবেশকারী যেন এখানে প্রবেশ করে অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি সকলের প্রতিই আহ্বান জানাচ্ছি। 
পাশাপাশি যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারস্পরিক পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’