বেতাগীতে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করলেন দীপা 

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৫, ১৮:৪২

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

বরগুনার বেতাগীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী দীপা রায় নামে এক তরুণী স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম ছেলেকে বিবাহ করেছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে দীপার নতুন নাম রাখা হয়েছে আয়শা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালী গ্রামে। এ ঘটনায় দীপা রায়'র পিতা বাদী হয়ে বেতাগী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, দীপা রায় দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার মাহবুবুর রহমান করিমের পুত্র মো. আবু সালেহ মুছার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তােলেন। তাদের এই সম্পর্ক দীপা রায়'র পিতা স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত মেনে না নেয়ায় তারা ২১ জুন শুক্রবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। 

একই দিন ঢাকার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট/নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে দীপা রায় স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মো. আবু সালেহ মুছার সাথে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে দীপা রায়ের নতুন নাম রাখা হয় আয়শা আক্তার। 

হলফনামায় মোসা. আয়েশা আক্তার ওরফে দীপা রায় উল্লেখ করেন, আমি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা উভয় উভয়কেই গভীরভাবে ভালবাসী। এই ভালবাসাকে চিরস্থায়ী রূপ দেয়ার জন্য বিবাহ বন্ধনে আবব্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। স্থানীয়ভাবে বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পরলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

এদিকে দীপা রায়ের পিতা স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত বাদী হয়ে ২১ জুন বেতাগী থানায় মো. আবু সালেহ মুছাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞতনাম ৫-৭ জনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মোসা. আয়েশা আক্তার ওরফে দীপা  বলেন,  আমি স্বেচ্ছায় আবু সালেহ মুছা সাথে বাসা থেকে চলে আসছি। আমি কোর্টের মাধ্যমে আমার হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে শরীয়ত মোতাবেক আবু সালেহ মুছার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমার নাম এখন থেকে মোসা. আয়েশা আক্তার। আমার পিতা আমার স্বামীর নামে অপহরণের মিথ্যা মামলা করেছেন। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।

স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত বলেন, বিয়ে এবং ধর্মান্তরের এফিডেভিটের আইনগত কোন বৈধতা নাই কারন আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এফিডেভিটে যে স্বাক্ষর রয়েছে তা আমার মেয়ের নয়। আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।