রৌমারীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট 

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৫১

রাজিবপুর (কুড়িগ্রা) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শাহীন নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষক এর বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি -যায়যায়দিন

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার গোয়াল গ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হাতে শাহীন নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষক এর বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

 রোববার (২২ জুন) দিন গত আনুমানিক রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়ির পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকার নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।

 এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার ২৩ জুন রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী  শিক্ষক  শাহীন জানান, রাত ২ টার দিকে হঠাৎ বাড়ির দরজা খুলার বিকট শব্দ শুনা গেল তার পর ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮-১০ জনের একদল মুখোশধারী অস্ত্রধারী ডাকাত বাড়ির পিছন দিক দিয়ে টিনের বেড়া কেটে প্রবেশ করে। 

তার পর লোহার দরজার তালা ও গ্রীল ভেঙে ঘরের  ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমেই আমার ও পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে জোরপূর্বক জাগিয়ে তোলে এবং  নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।

ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার কোথায় রাখা আছে তা জানাতে চাপ প্রয়োগ করে। 

একপর্যায়ে তারা ঘরের আলমারি, ড্রয়ার ও বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার,মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়। পুরো ডাকাতি প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে।

ঘটনার পরপরই আশপাশের মানুষজন ছুটে এসে রৌমারী থানার পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ডাকাতির প্রবণতা বাড়ছে। দ্রুত ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ ঘটনার পর গোয়াল গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন ঘর বাড়ি। সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে এটা একটি পরিকল্পিত ডাকাতি বলেই মনে হচ্ছে।

 অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে এবং বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।''