ফুলবাড়িতে বিধবস্ত বাঁশের সাঁকো পুনঃনির্মাণ
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৫, ১৫:২৯

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পানির তোড়ে বিধবস্ত বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীতে নির্মিত ২২০ ফিট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটির অবশেষে গ্রামবাসীরা নিজস্ব উদ্যোগে পূণঃ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকায় নবিউলের /আমিন মেম্বারের ঘাট নামে পরিচিত বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীতে ২২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোটি ৪জন শ্রমিক দিয়ে পূণঃ নিমার্ণের কাজ করতে দেখা গেছে।
এ সময় স্থানীয় ওবায়দুল হকসহ অনেকেই জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা না পেয়ে দুপাড়ের বাসিন্দারা নিরুপায় হয়ে নিজস্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ করে ভাঙা সাঁকো পূণ:নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হতে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। এখনো দুপারের মানুষের ভোগান্তি কমেনি। সাঁকোর কাজ শেষ না হওয়া অব্দি দুপাড়ের বাসিন্দাদের এক বুক নদীর পানি পাড়ি দিয়ে পারাপার করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত সাঁকো পূণঃ নির্মাণের প্রধান উদ্যোক্তা কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য,আমিনুল হক জানান, পানির তীব্র স্রোতে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের পারাপারের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির নেমে আসে। বাঁশের সাকোটি দ্রুত সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাড়া পাইনি। তাই বাধ্য দুপাড়ের বাসিন্দারা মিলে বাঁশ সংগ্রহ করে গত তিন চার দিন ধরে ভাঙা সাঁকোটির পূণঃ নিনির্মাণের কাজ শুরু করেছি। যে পরিমাণ বাঁশ সংগ্রহ করা হয়েছে, এই বাঁশে যদি সংস্কার চাহিদা পুরন হয় তাহলে সাঁকোটি পূর্ণ:নির্মাণ করতে ১০ দিনের মতো লাগতে পারে। তিনি আরও জানান সাঁকো নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত দু পারের মানুষজনকমে নদী সাঁতার দিয়ে পারাপার করতে হবে।
গেল এক মাস থেকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী, চরগোরকমন্ডল, ঝাঁউকুটি, পশ্চিম ফুলমতি, নাওডাঙ্গা ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হকবাজার এবং পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের চরখারুয়া এবং খারুয়াসহ ৮ গ্রামের হাজারও মানুষ এখন নদী পাড়াপাড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে।