সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করে মিশুক ছিনতাইয়ের রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৫, ১০:৩৬

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করেমিশুক ছিনতাইয়ের মামলায় এক নারীসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। ছবি: যায়যায়দিন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত মিশুক ছিনতাইয়ের মামলায় এক নারীসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। ছিনতাইকৃত মিশুকটি উদ্ধার করা হয়েছে।  

গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বেলকুচি উপজেলার বিশ্বাসবাড়ি এলাকার ফজল মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল (৪০), একই এলাকার লালচান মন্ডলের মেয়ে হালিমা খাতুন (৪০), সাইদুল ইসলামের ছেলে শাহাদত সরকার (২৬) ও ইউনুস আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৬)। নিহত ইসলাম প্রামানিক (২৪) বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বাসবাড়ি এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।

সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন জানান, ১৯ জুন রাতে ইসলাম প্রামানিককে কুপিয়ে হত্যা করে তার মিশুকটি ছিনতাই করা হয়। ২০ জুন সকালে পাশের কামারখন্দ উপজেলার বলরামপুর এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা মামলা দায়ের করেন। সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। 

সোমবার সন্ধ্যায় ২জন এবং মঙ্গলবার ভোরে ২জনকে গ্রেফতার এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে ছিনতাই হওয়া মিশুকটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহরিয়ার বাপ্পি তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে তুহিন মন্ডল নিহতের চাচা এবং হালিমা খাতুন পরকীয়া প্রেমিকা। আর বাকি দুইজন নিহতের বন্ধু। অভিযুক্তরা এক সাথে জুয়ার বোর্ডে সুদে টাকা লাগাতো। নিহত ইসলাম অভিযুক্তদের কাছ থেকে জুয়ার বোর্ডে লাগানোর জন্য টাকা ধার নিয়েছিল। পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। এরপর তারা ইসলামকে হত্যা করে মিশুক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এ অবস্থায় ১৯ জুন রাতে হালিমা খাতুন বাদে বাকি ৩জন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে মিশুকটি ছিনতাই করে। এরপর তারা মিশুকটি বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।