কেন্দুয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন, প্রেমিক পলাতক 

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৫, ১৫:১৩

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন- ফাইল ছবি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্কের শেষ পরিণতি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন ।

স্থানীয় ও উভয় পরিবারের তথ্য মতে গত সোমবার (২৩জুন) বিকাল থেকে প্রেমিকা হাফসা আক্তার (৩০) প্রেমিক আলিম উদ্দিনের (৩৫) বাড়িতে এ অবস্থান অনশন করছেন জানা গেছে ।

মঙ্গলবার (২৪জুন) দুপুরে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ইটাচকি গ্রামের পূর্ব পাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একই ইউনিয়নের বহুলী গ্রামের মৃত শাহজান মিয়ার মেয়ে হাফসা আক্তার (প্রেমিকা) মৃত সিদ্দিক উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক আলিম উদ্দিনের বাড়িতে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতি অর্থাৎ বিয়ের দাবিতে অবস্থান অনশনে রয়েছেন ।

 অন্যদিকে প্রেমিক আলিম উদ্দিন উধাও বা পলাতক ! তাঁর মোবাইল নাম্বারও বন্ধ । বাড়ির কেউ জানেন না তার খোঁজ । 

জানা যায়, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়ের প্রেমের সম্পর্কের মাঝের কিছু বছর প্রেমিক আলিম উদ্দিন বিদেশে থাকলেও অনলাইনে কল ও চ্যাটিং এর মাধ্যমে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিলো তাদের ।

 প্রেমিকা হাফসার মোবাইলে আলিম উদ্দিনের একাধিক ফেইসবুক আইডি থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় এর সত্যতাও মিলে ।

ভুক্তভোগী (প্রেমিকা) হাফসা আক্তার বলেন, আলিম উদ্দিনের সাথে আমার প্রায় ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক । মাঝে কয়েক বছর সে দেশের বাইরে থাকলেও অনলাইনে মোবাইলে যোগাযোগ ছিলো ।

 তার অপেক্ষায় আমার বয়সও বেড়েছে । কিন্তু ঈদুল আজহার আগে দেশে আসার পর বিয়ের জন্যে বললে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । তার সাথে দেখা এবং বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এখানে থাকবো । অন্যথায় আত্মহত্যা করবো !

হাফসা আক্তারের বড় ভাই চন্দন বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়ে বলেন, আমার বোন যেনো সঠিক বিচার পায় । আমার বোন প্রতারণার শিকার । 

আলিম উদ্দিনের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন বলেন, দু'জনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক এর আগে জানতামই না । এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে । তিনি আরো বলেন, আমার ভাইকে পাচ্ছি না । মোবাইল নাম্বারও বন্ধ । আলিম উদ্দিন এই মেয়েকে মেনে নিলে আমাদের কোন সমস্যা নেই ।

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার জাহান কাওছার মুঠোফোনে বলেন, আমরা কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি । ছেলে পক্ষ সমাধানের জন্যে সময় চেয়েছে ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম । লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে