গতি ফিরল সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মাণ কাজে
ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১৯শ’ কোটি টাকা ছাড়
প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৫, ১৬:৩২

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আলোর মুখ দেখছে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। গত ১৬ জুন সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশন হতে বগুড়া পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অনুকূলে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থ থেকে ১৯শ’ কোটি ১৩ লাখ টাকা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর চেক প্রদানপূর্বক ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার মধ্যে নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসুচিও পালন করা হয়েছে।
জনগণের দাবির মুখে তৎকালীন সরকার বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
বর্তমানে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ায় ট্রেনে যেতে ঈশ্বরদী নাটোর সান্তাহার জংশন হয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরতে হয়। নতুন রেলপথ নির্মাণ হলে দূরত্ব কমে যাবে প্রায় ১২২ কিলোমিটার।
পরিবহন খরচ যেমন কমবে তেমনি ৪ ঘন্টা সময় বাঁচবে। এতে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসার ঘটবে এবং উত্তরাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে বগুড়ায় ৪টি ও সিরাজগঞ্জে ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও বগুড়ার রানীরহাট ও সিরাজগঞ্জে দুটি জংশন স্থাপন করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, ইতোমধ্যে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে জমি অধিগ্রহনের জন্য ১৯শ’ কোটি ১৩ লাখ টাকা অবমুক্তকরন করা হয়েছে। দুই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে চেক হস্তান্তরপুর্বক ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের জন্য ৯৬০ একর জমির প্রয়োজন হবে।
আর ডুয়েল গেজের রেল সড়কটি নির্মাণ হলে ঢাকার সঙ্গে ১১২ কিলোমিটার পথ কমে যাওয়ার সঙ্গে সময় বেঁচে যাবে প্রায় ৪ ঘণ্টা।