খুলনায় ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী গ্রেফতার 

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৫, ১৮:০৪

খুলনা অ‌ফিস
ছবি : যায়যায়দিন

খুলনায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ২ জনকে মামলার ৭২ ঘন্টার ভিতর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব- র‌্যাব যায়যায়‌দিন‌কে ব‌লেন, বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বিবিধ প্রতারক চক্রের দ্বারা সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় র‌্যাব-৬ কর্তৃক উক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ জুন ২০২৫ র‌্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল বিকাল  কেএমপি খুলনার খালিশপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার প্রধান ১ নং পলাতক আসামী মোস্তাক আহমেদ সজীব @ রাশেদ (৪০), পিতা-মনিরুল ইসলাম, সাং-বড় বয়রা পালপাড়া এবং তদন্তে প্রাপ্ত ২নং আসামী মোঃ রাজু শেখ (৩২), পিতা- মোঃ আবজাল শেখ, সাং-বড় বয়রা মধ্যপাড়া, উভয় থানা- খালিশপুর, জেলা- খুলনাদ্বয়কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম একজন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা। গ্রেফতারকৃত ১নং আসামীর সাথে ভিকটিম এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। 

গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী ভিকটিমকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৩ জুন ২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১২ টায় সময় খুলনা সদর থানাধীন খানজাহান আলী রোড তারের পুকুর মোস্তফা কামাল এর বাড়ীর ৩য় তলার ছাদের উপর চিলেকোঠার রুমের ভিতর নিয়ে ভিকটিমকে শারীরিক মেলামেশা করার কুপ্রস্তাব দেয়। 

ভিকটিম উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে ১নং আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে। তখন রুমের ভিতরে তদন্তেপ্রাপ্ত ২নং আসামী প্রবেশ করে এবং ১নং আসামী রুম থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে তদন্তেপ্রাপ্ত ২নং আসামী ভিকটিমকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে খুলনা সদর  থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। 

উক্ত ধর্ষণের ঘটনার বিষয় জানতে পেরে র‌্যাব-৬, সিপিএসপি এর একটি আভিযানিক দল আসামিদ্বয়কে গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদ্বয়কে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেএমপি খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।