৫০ লাখ টাকায় নিলামে বালু কিনে বেকায়দায় সোলায়মান!

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৫, ১৮:২৫

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৫০ লাখ টাকার নিলামে ক্রয়কৃত বালু বুঝে পাননি ক্রেতা এমন অভিযোগ করেছেন, নিলামে পাওয়া বালুর মালিক জহুরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোলায়মান লিটন।

ভূঞাপুরের নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের তিনটি বালুর স্তুপ ৫০ লাখ টাকার নিলামের ক্রয়কৃত বালু অবৈভাবে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। 

এনিয়ে প্রতিকার চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলামের কোনো সাড়া পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী জহুরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোলায়মান লিটন। স্তুপকৃত ঠিকাদারপক্ষের বালু অবৈধভাবে বিক্রি করছেন মাসুদের স্ত্রী শেফালী মাসুদ ও তার স্বজনরা। 

এতে নিলামে পাওয়া বালুর মালিক সোলায়মান লিটন বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
 

অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া এলাকায় নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি বালুর স্তুপ জব্দ করে সেগুলো ২৬ লাখ ঘনফুট বালু নিলামে তোলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম। 

পরে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন জহুরা এন্টারপ্রাইজ। যথারীতি নিয়মে নিলামের মূল্যকৃত অর্থ পরিশোধ করে। পরে কার্যাদেশ পাওয়ার পর বালু বিক্রি করতে গেলে বাধা দেয় সহকারী কমিশনার ভ‚মি তারিকুল ইসলাম। জহুরা এন্টারপ্রাইজকে বালু বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা করেন।

 
স্থানীয়রা জানায়, যারা নিলামের মাধ্যমে বালু কিনে নিয়েছেন তারা ঘাটে আসতে পারে না। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন রাতের আঁধারে অন্যের বালু বিক্রি করে আসছে।


ভুক্তভোগী জহুরা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোলায়মান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদল হক মাসুদ হত্যা মামলার আসামি থাকায় আত্মগোপনে থাকেন। পরে মাসুদের স্ত্রী শেফালী মাসুদের নেতৃত্বে ইয়ার আলী, আব্দুল কাদের, মাসুদুল হক সুজন, একলাছ, সালাম, আলী আকবর, রফিক, আলাউদ্দিন, নুরুল ইসলামসহ আরও অজ্ঞাত ১৫/২০ লোক রাতে এক সপ্তাহ ধরে ট্রাকযোগে ক্রয়কৃত বালু বিক্রি করে আসছে। এভাবে চুরি করে বালু বিক্রি করতে থাকলে আমি বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ে যাব।

 

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে এই বালু বিক্রি বন্ধে ও বালু বুঝিয়ে দেয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. তারিকুল ইসলামের কাছে একাধিক বার চিঠি দিয়েও তার কোনো প্রতিকার পাইনি এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

 

সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের স্ত্রী শেফালী মাসুদকে মোবাইলে কল করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. তারিকুল ইসলামমে একাধিবার মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেনি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু আবদুল্লাহ খান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং বালু বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।