নলডাঙ্গায় ঐহিত্যবাহী ‘পিতলের রথযাত্রা’

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৫, ২০:২৯

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গার পিতলের রথ। ছবি: যায়যায়দিন

নাটোরের নলডাঙ্গায় উপমহাদেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম পিতলের রথযাত্রা উদযাপিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে নলডাঙ্গার উপজেলার মাধনগরের মদনমোহন মন্দির থেকে দেড়শো বছরের অধিক পুরানো পিতলের রথ রশি দিয়ে টেনে যাত্রা শুরু করেন। 

এতে অংশ নেন আশে পাশের কয়েক জেলা,উপজেলার হাজারো পূণ্যর্থী ও ভক্তরা। নানা সাজে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে রথ টেনে নিয়ে যান তারা।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মাধনগর মদনমোহন মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। নয়দিন পরে এখান থেকেই উল্টা রথে ফিরবেন শ্রী শ্রী জগন্নাথ। 

মঙ্গল, মুক্তি আর শান্তি সমৃদ্ধির এই যাত্রা মানব জাতির জন্য আর্শীবাদ বলে জানান নানা বয়সী ভক্তরা। 

স্থানীয় এলাকাবাসী,মানিক চন্দ্র,বিনয়,সুশান্ত কুমারসহ অনেক বরেন,প্রতিবছরের মতো এই যাত্রা মানুষের চাওয়া-পাওয়ার সন্নিবেশ ঘটায়। আমরা চাই,সরকার যেন এখানকার ভূমিদস্যুদের হাত থেকে দের্বত্তর সম্পত্তি উদ্বার করে।

মদনমোহন মন্দিরের সভাপতি পিন্টু অধিকারী বলেন,১৬৮ বছরের পুরানো পিতলের এ  রথ  ১২ ফুট স্কয়ারে ২৫ ফুট উচ্চতা,১২টি চাকা এ চাকার ভিতরে রয়েছে পিতলের ১২টি পাত,১২ টি কোন ও ১১২টি পিলার। 

মাধনগরের ১৬৮ বছরের পুরানো রথ উপমহাদেশেরর সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম। মদনমোহনের মাহাত্ম দেখে পাবনার দিলালার জমিদার যামিনী সুন্দরী বসাক ১৮৬৭ সালে এ রথ প্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্ত রথের প্রায় শতাধিক বিঘা দেবোর্ত্তর জমি থাকলেও সে জমিগুলো বিক্রি হয়ে বিভিন্নভাবে হাতবদল হয়ে বেদখল হয়েছে। বেদখল হওয়া এ দেবোত্তর সম্পতি ফিরে পাওয়ার দাবী করছি।

নলডাঙ্গা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট উদয় ভট্টাচার্য বলেন, মাধনগরে মদনমোহন মন্দিরে জগন্নাথ দেবের দেড়শ বছরের পুরানো পিতলের রথযাত্রা উদযাপিত হয়েছে। 

কিন্ত রথের প্রায় শতাধিক বিঘা দেবোর্ত্তর জমি থাকলেও সে জমিগুলো বিক্রি হয়ে বিভিন্নভাবে হাতবদল হয়ে বেদখল হয়েছে।বেদখল হওয়া এ দেবোত্তর সম্পতি ফিরে পেতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।